নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত তোলপাড় হয়ে গিয়েছে দেশ। দিনের পর দিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বাড়ন্ত ঘটেছে। যদিও এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। মনে করা হচ্ছে করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির কারণে তৃতীয় ঢেউ আসবে। ইতিমধ্যে দেশে এই প্রযুক্তিতে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে বলে ঘুরতে যাওয়া এবং তীর্থযাত্রা আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।
আইএমএ বলছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে কারণ করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই লকডাউন সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে এবং মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ নিয়ম না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়েছেন এবং ঘুরতে যাচ্ছেন। এই ধরনের পরিস্থিতি আগামীদিনের মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে তারা। সেই কারণেই অনুরোধ জানানো হচ্ছে যাতে আপাতত ঘুরতে যাওয়া বা তীর্থযাত্রা এবং ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখা হয়। অন্ততপক্ষে আগামী কয়েক মাস যাতে মানুষ আরও বেশি সচেতন হয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করেন, এমনটাই চাইছে আইএমএ। এই ক্ষেত্রে তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, টিকাকরণ ছাড়া জনসমাবেশ এইভাবে অনুমতি দেওয়া হলে আগামী দিনে তা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে নেবে। তাই সাধারণ মানুষকে আগের মতোই সচেতন এবং করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মানার আর্জি জানাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের কৌঁসুলি পরিচয়ে প্রতারণা সনাতনের, BJP-কে চিঠি কলকাতা পুলিশের
ইতিমধ্যেই উত্তর ভারতের মানালি থেকে শুরু করে মুসৌরিতে পর্যটকদের ঢলের ছবি আতঙ্কিত পড়েছে সকলকে। সেখানে দেখা গিয়েছে যে বহু পর্যটক মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে এবং করোনাভাইরাস নিয়মবিধি আরো কঠিন করে দিয়েছে। এই প্রাকৃতিক মনে করা হচ্ছে যে এইভাবে ঘুরতে যাওয়া বা ধর্মীয় সমাবেশ যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এখন তাহলে ডেল্টা প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত ঘটে গিয়ে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আরো ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে। সুতরাং পরবর্তী কয়েক মাস সাধারণ মানুষকে এই একই ভাবে সচেতন থাকতে হবে বলেই স্পষ্ট করা হচ্ছে।