অতি সংক্রামক ডেল্টা রুখতে কতটা কার্যকর টিকা? কী বলছে ICMR?

অতি সংক্রামক ডেল্টা রুখতে কতটা কার্যকর টিকা? কী বলছে ICMR?

নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন রূপ৷ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট! অতি সংক্রামক ডেল্টা রুখতে কতটা কার্যকর টিকা? টিকার কার্যকারিতা নিয়ে আশ্বাস আইসিএমআরের৷

দেশে করোনার একাধিক স্ট্রেন ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। এর মধ্যে একটা প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল, করোনার এই স্ট্রেনগুলির বিরুদ্ধে আদৌ কাজ করবে কি না ভ্যাকসিন। সেই একই প্রশ্ন এ বারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বি.১.১.২৮.২ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে আদৌ কি কাজ করবে করোনা প্রতিষেধক? সে প্রশ্নের উত্তর দেবে গবেষণা।

এদিকে আশঙ্কা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণও। যে পদ্ধতিতে করোনা রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে তা এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে কার্যকরী নয় বলেই মত তাঁদের। এমনকী প্রচলিত করোনা টিকাগুলির সবকটিও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে পুরোপুরি সক্ষম কিনা সেই নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, করোনার প্রাথমিক ভাইরাস থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ বার মিউটেশন বা অভিযোজনের পর এই অতি সংক্রামক ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টটি রূপান্তিরিত হয়েছে৷ তবে ভারতের দুটি ভ্যাক্সিন কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের ওপর কার্যকর হবে বলেই আশ্বস্ত করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। তাঁর দাবি, ‘‘ভারতের দু’টি টিকারই এই ডেল্টা প্রজাতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে৷ তবে এই ক্ষমতা কতখানি, বা কতটা অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আপাতত ডেল্টাপ্লাসে আক্রান্ত এলাকাগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসে ২২ জন ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার পরিসংখ্যান সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জনই মহারাষ্ট্রের৷ বাকিরা কেরল এবং মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা৷  করোনার এই প্রজাতি টিকার প্রভাবকে পরাস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। করোনার রূপ বদল দেখে ব্রিটেন ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান ফের কমিয়ে প্রায় আগের মতো করে ফেলেছে। অথচ ভারত আটকে রয়েছে তার পুরোনো সিদ্ধান্তেই। এই পরিস্থিতিতেই চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানো অত্যন্ত প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান টিকা নীতি না পরিবর্তন করলে ডেল্টা স্ট্রেনের প্রকোপে করোনার তৃতীয় ঢেউও এদেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেই মত একাংশের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *