মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের বেলর কলেজের গবেষকরা ১৫ লক্ষ পুরুষের পেনিসের আকার-আকৃতি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। ‘ইনক্রিজড রিস্ক অফ ক্যান্সার অ্যামং মেন উইথ পেরোনিজ ডিজিজ’ শীর্ষক সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে আমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিনের কাছে। তাঁদের বক্তব্য, যদি পেরোনিজ ডিজিজে কেউ ভোগেন, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
প্রশ্ন হল, পেরোনিজ ডিজিজ কাকে বলে? কামোত্তেজনা জাগলে পেনিস উত্থিত হয়। সাধারণত উত্থিত অবস্থায় পেনিস সোজা দণ্ডের মতো আকার ধারণ করে। কিন্তু পেনিস কখনও উত্থিত অবস্থায় অর্ধচন্দ্রের মতো বেঁকে যায়, সোজা দণ্ডের মতো হয় না। এমন বাঁকা পেনিসই হল পেরোনিজ ডিজিজ। ৪০ বছরের পর পেরোনিজ ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে কম বয়সেও এই রোগ হতে পারে। শুধু ব্রিটেনেই অন্তত দেড় লক্ষ পুরুষ পেরোনিজ ডিজিজের শিকার।
পেরোনিজ ডিজিজ গোপনাঙ্গ এবং পাকস্থলির ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে। এমনকী, এর ফলে ত্বকের ক্যান্সার বা মেলানোমা হওয়াও আশ্চর্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। সুতরাং, বাঁকা লিঙ্গ মোটেও স্বাভাবিক নয় বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, পেনিসে ফাইব্রাস স্কার টিস্যু তৈরি হলে পেরোনিজ ডিজিজ হতে পারে। ফাইব্রাস স্কার টিস্যু তৈরি হওয়াকে ইনডুরাশিও পেনিস প্লাস্টিকা বলে। নিম্নলিখিত কিছু উপসর্গ দেখলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত—
• আগে লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় সোজা থাকত, এখন হঠাৎ বেঁকে যাচ্ছে মনে হলে।
• পেনিসের কোনও জায়গা অস্বাভাবিক রকম শক্ত মনে হলে।
• পেনিসে কোথাও টিউমারের মতো স্ফীতি দেখা দিলে।
• লিঙ্গোত্থানের সময় যন্ত্রণা হলে।
• উত্থিত অবস্থায় পেনিসের দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে কোনও পরিবর্তন দেখা দিলে পেনিস কোনওভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও পেরোনিজ ডিজিস হতে পারে। সেক্ষেত্রেও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভাল।
গবেষক দলের প্রধান আলেকজান্ডার পাস্তুসজাক বলেছেন, ‘‘এমন গবেষণা আগে কখনও হয়নি। লিঙ্গ বাঁকা থাকলে তাকে ডিজঅর্ডার মনে করা হত। আমরাই দেখিয়েছি, ডিজঅর্ডার নয়, এটা ডিজিজ।’’