কলকাতা: ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা৷ এডিস মশা এই ভাইরাস বহন করলেও তার ওই রোগ হয় না৷ অথচ সেই মশা কোন মানুষকে কামড়ালে তার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়৷ চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস রয়েছে৷ এই রোগের প্রথম লক্ষণ, রোগীর জ্বর আসে৷ জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে৷ সঙ্গে থাকতে পারে মাথা ব্যথা৷ বমি ভাব৷ মোটামুটি প্রথম থেকে ৫ দিন ডেঙ্গুর উপসর্গ এমনই থাকে৷ তবে ডেঙ্গু জটিলতা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ এগুলি হল ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম৷
রোগীর শরীরে লাল লাল দাগ দেখা যায়৷ দেহের অন্দরে রক্তপাত, কালো পায়খানা, ব্রেন হেমারেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ এমনকী, রোগীর স্ট্রোকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷ আসলে ডেঙ্গু রোগের প্লেটলেট কাউন্ট নেমে ১০ হাজারের নিচে চলে গেলে বা প্লেটরেট ১০ হাজারের উপরে থাকলেও সঠিকভাবে কাজ করতে নাও পারে৷ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় রক্তপাত শুরু হওয়ায় হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ একে তাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়ে থাকে ৷
ডেঙ্গু রোগে রোগীর ব্লাড প্রেসার কমতে শুরু করে৷ ইউরিনের মাত্রা কমতে থাকে৷ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করে৷ মুশকিল হল, ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কারণে কিডনি বিকল হওয়ার ভয় থাকে৷ অবশ্য দুই ধরনের ডেঙ্গু তাদেরই দেখা যায় যাদের ক্লাসিকাল ডেঙ্গু হওয়ার ইতিহাস আছে৷ ফলে, এমন কিছু অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷