কলকাতা: শরীরে দু’ রকমের কোলেস্টেরল হয়। ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরে কোষ গঠন করতে ভীষণ প্রয়োজনীয়। শরীরে একাধিক হরমোন সৃষ্টি করতেও ভালো কোলেস্টেরল প্রয়োজন। কিন্তু শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ও হৃদরোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তবে খুব সহজেই সেটা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত প্যাকেটজাত পরিশোধিত চকচকে চাল, আটা, ময়দা না খাওয়াই ভালো৷ কারণ পরিশোধিত হওয়ায় সেগুলি থেকে সমস্ত পুষ্টিগুণ চলে যায়। এমনকী খাবারের মধ্যে থাকা ফাইবারও নষ্ট হয়ে যায়। তার বদলে চিকিৎসকরা পুরো শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন৷ তাতে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পায় শরীর। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকা ব্যক্তিদের এর মাত্রা কমানোর জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে বাদ্যমতামূলক ভাবে ওটস্ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বাজারের প্যাকেটজাত ধবধবে ময়দা এড়াতে ডালিয়াও খাওয়া যেতে পারে৷
ভালো কোলেস্টেরল বজায় রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে ডাল রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের৷ হার্ট ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ডালের উপকারিতা অনস্বীকার্য। তবে এক্ষেত্রেও প্যাকেটজাত চকচকে ডাল না খেয়ে খুচরো বাজার থেকে বাইরের কোটিং সহ ডাল খাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা৷
ডায়েটে বেশি করে সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে৷ চিকিৎসকদের মতে, খাবারের আগে স্যালাড খেলে বেশি শাকসবজি খাওয়া যায়। স্যালাডে রাজমা, ছোলা রাখা যেতে পারে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে হলে, ঢ্যাঁড়স ও বেগুন, এই দু’টি সবজির জুড়ি মেলা ভার। শুধু ভালো খাবার খেলেই হবে না, রান্নায় বেশি তেল না ব্যবহার করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে প্রত্যহ ফল খাওয়া ভীষণ জরুরি৷ আপেল এবং জামের উপকারিতা অনেক৷ প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটা ফল বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে বলছেন তাঁরা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অর্থাৎ লেবুজাতীয় ফলে থাকা পেকটিন ফাইবার শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভালো কোলেস্টেরল বজায় রাখতে বিভিন্ন বাদামও ভীষণ উপকারী।