নয়াদিল্লি: চলতি জানুয়ারি মাস থেকে করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হবার পরও এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গোটা দেশে আতঙ্ক বহাল রয়েছে করোনার। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে টিকাকরণের জোর দেওয়া হচ্ছে কারণ করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির ডেল্টা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে সব মহলের। মনে করা হচ্ছে এই প্রজাতির কারণেই তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে দেশে। তবে টিকাকরণ হওয়ার ফলে এই প্রজাতি থেকে কতটা সুরক্ষিত মানুষ তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মূলত অধিকাংশ মানুষ এখনো পর্যন্ত একটি মাত্র টিকা পেয়েছেন, দ্বিতীয় টিকা পাননি অনেকেই। তাই একটি মাত্র ভ্যাকসিনের ডোজে শরীর কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যা উদ্বেগজনক।
পুনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নিজেদের গবেষণায় বলেছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ এইভাবে কোনরকম সুরক্ষা কবচ তৈরি করছে না শরীরের মধ্যে। তাই জন্য অবশ্যই করোনাভাইরাস সর্তকতা বিধি এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে মানুষকে। যতদিন না পর্যন্ত অধিকাংশ দেশের মানুষ দুটি ভ্যাকসিন ডোজ না নিয়ে নিচ্ছেন ততদিন কঠোর নিয়ম পালন করতে হবে বলে জানাচ্ছে তারা। তাদের গবেষণা আরো বলছে, করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি অর্থাৎ ডেল্টাকে প্রতিরোধ করতে ভাইরাসের একটি শট যথেষ্ট নয়। দুটি ডোজ নিলেই শরীরে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা গড়ে ওঠা সম্ভব। তাই গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, করোনাভাইরাস একটি টিকা নেওয়ার পরে সংক্রমণ তীব্র হতে পারে। সেইমতো সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে জন সাধারণকে।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের কৌঁসুলি পরিচয়ে প্রতারণা সনাতনের, BJP-কে চিঠি কলকাতা পুলিশের
এদিকে আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, মূলত চারটি কারণে বিশ্বের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমছে না। এর মধ্যে সবথেকে চিন্তার বিষয় হল ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধি। এর পরে রয়েছে মানুষের ও সচেতন মনোভাব এবং সামাজিকভাবে মিলে মিশে যাওয়া আগের মত। তিনি আরো জানাচ্ছেন, বিশ্বের একাধিক দেশে লকডাউন সিদ্ধান্ত শিথিল করে দেওয়া এবং সর্বশেষে টিকাকরণের গতি কমে যাওয়া করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধাণত, এই চারটি কারণের জন্যই গোটা বিশ্বের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।