নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে করোনা ভাইরাস টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে দেশে। প্রায় ১ বছর হতে চলল টিকাকরণের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের একাংশের টিকা নিয়ে প্রশ্ন শেষ হয়নি। এখনও এই করোনা টিকা নিয়ে অনেক ধন্দ রয়েছে। আর এসবের মধ্যে সবথেকে বড় প্রশ্ন, টিকার অ্যান্টিবডির মেয়াদ কতদিন। সেই প্রশ্ন উত্তর এখন একদম স্পষ্ট। আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গভ এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
দাবি করা হচ্ছে, যারা শুধুমাত্র টিকা নিয়েছেন কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হননি তাদের তুলনায় করোনা হওয়া এবং দুটি টিকা নেওয়া ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি বেশিদিন স্থায়ী হবে। আসলে বলা হচ্ছে, যাদের করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। এরপর যদি সেই ব্যক্তি টিকা নেন, তাহলে দুই ধরণের অ্যান্টিবডি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। তবে শুধু টিকা নেওয়া ব্যক্তির শরীরে তার প্রভাবে থাকবে ন্যুনতম ৯ মাস। যদিও এই মেয়াদ নির্ভর করছে তার শরীরের অবস্থা কেমন, তার ওপর। কিন্তু এটাও বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, টিকা নেওয়া মানেই করোনা হবে না, এমনটা নয়। টিকা নেওয়া থাকলে করোনার প্রভাব অনেক কম হবে এবং রোগী ‘সিরিয়াস’ হয়ে যাবে না। তাই টিকা নিতেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে এদিকে চিন্তা দিন দিন বাড়ছে। ডেল্টার থেকেও এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞরা। এমনকি টিকা নেওয়া থাকলেও এই প্রজাতি কাউকে কাবু করতে সক্ষম সেটার ইঙ্গিতও মিলেছিল। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের শরীরে ওমিক্রনের মূলত ৮ টি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল: মাথা যন্ত্রণা, কাশি, সর্দি, ক্লান্তি, গলা যন্ত্রণা, জ্বর, পেশী যন্ত্রণা, কনুই, হাঁটু, কোমরে যন্ত্রণা। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের বাড়াবাড়ি শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। হাসপাতালেও সেইভাবে ভর্তি হতে হচ্ছে না কাউকে, বলে দাবি করা হচ্ছে।