কীভাবে বুঝবেন ব্লাড সুগার লেভেল হাই?

কীভাবে বুঝবেন ব্লাড সুগার লেভেল হাই?

কলকাতা: বর্তমানে কম বয়সিদেরও ব্লাড সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে অল্প বয়সেই ব্লাড সুগারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাঁদের অনেকেরই প্রাথমিক লক্ষণ, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া। এছাড়া বর্তমানে কোভিড ১৯ থেকে সেরে ওঠার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও ডায়াবিটিস দেখা দিচ্ছে। তার লক্ষণও হতে পারে ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি। ঝাপসা দৃষ্টি জটিল ডায়াবিটিসের লক্ষণ। এটি দুই রকম হয়, দীর্ঘকালীন এবং স্বল্পকালীন।
দীর্ঘদিন ধরে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হলে, তা জটিল ডায়াবিটিসের লক্ষণ৷ অর্থাৎ ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেকটাই বেশি। এর ফলে অনেক সময়ই ধমনীর ক্ষতি হতে পারে। আবার এর ফলে চোখের রেটিনাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়৷ স্বল্পকালীন ঝাপসা ভাব অবশ্য জটিল নয়।

ব্লাড সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে গেলে, চোখে জলীয় পদার্থ আনাগোনা করায় দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। এর ফলে চোখ ফোলা লাগতে পারে৷ রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গেলে চোখের ঝাপসা ভাবও কমতে থাকে।
অনেক সময় ব্লাড সুগারের মাত্রা নেমে গেলেও, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকলে, চোখের ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা করা দরকার।
চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও ঝাপসাভাব থাকলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডায়াবিটিসের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ হল, দৃষ্টিশক্তি হঠাৎ ঝাপসা হতে থাকা। 
ডায়াবিটিস রোগীদের বছরে অন্তত একবার চোখের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করা দরকার। 
চোখে ঝাপসা ভাব হলে ডাক্তারের কথা মতো খাবার এবং ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্লাড সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
চোখের ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যা মেটাতে ওষুধ, খাবার, যোগাসন এবং জীবনযাত্রার নিয়ম শৃঙ্খলা দরকার।
ডায়াবিটিক রোগীদের গ্লুকোমা হলেও চিন্তার বিষয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 4 =