কলকাতা: দাবানলের মতো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ৷ প্রতিদিন ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড৷ করোনা স্ফীতির এই সময়ে দেখা যাচ্ছে অনেকেই দু-তিনদিন সর্দি-জ্বরের মতো মৃদু উপসর্গ নিয়ে ভুগছেন৷ দুই-তিন দিন কাটতেই সুস্থ হয়ে কর্মজগতে ফিরে যাচ্ছেন৷ কিন্তু কতটা সুস্থ হচ্ছেন তাঁরা?
আরও পড়ুন- ওমিক্রন ঠেকাতে দুটি টিকার পরেও চাই বুস্টার! বলছে গবেষণা
দেখা গিয়েছে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হলে এবারও যথেষ্ট ভুগতে হচ্ছে৷ যাঁরা টিকার দুটি ডোজ নেননি, প্রভাব পড়ছে তাঁদের শরীরেও৷ বাকিদের মধ্যে তেমন বাড়াবাড়ি রকমের উপসর্গ দেখা যায়নি৷ তবে গায়ে ব্যথা বা দুর্বলতা রয়েছে৷ ফলে উপসর্গ মৃদু হলেও অবহেলা নয়৷ এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ তাই আক্রান্ত হলে পরে কিছু জিনিস অবশ্যই মেনে চলতে হবে৷ দেখে নিন সেগুলি কী-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম- কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘ দিন ক্লান্তি ভাব থেকে যায়৷ এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। কোভিড থেকে উঠেই জোর করে অনেক বেশি পরিশ্রমের কাজ করা উচিত নয়। মাঝে মধ্যে একটু জিরিয়ে নিন। ভাল করে টানা ঘুমান। রোগমুক্ত হওয়ার পরও কম করে এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম করতে পারলে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
পুষ্টিকর খাবার– কোভিডের পর পুষ্টিকর আহার অপরিহার্য৷ তবে আপনার শরীরে যদি অন্যান্য রোগও বাসা বেঁধে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন৷ এমনিতে এই সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার আর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত৷
ব্যায়াম- প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করলে শরীরে বল ফিরবে৷ তবে শরীর বুঝে ব্যায়াম করা উচিত৷ ক্লান্তি ভাব লাগলে ব্যায়াম না করাই ভাল৷
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা- কোভিড মুক্ত হওয়ার পরেও নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করুন৷ কারণ হঠাৎ করে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে৷
স্মৃতিশক্তির খেলা- সহজ স্মৃতিশক্তির খেলা বা ধাঁধার সমাধানের চেষ্টা করুন৷ প্রয়োজনে পাজলড গেমও খেলতে পারেন৷ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চলনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনমার মস্তিষ্ক সুস্থ রয়েছে কিনা, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে৷