কলকাতা: বর্ষাকাল মানেই ভোজনরসিক বাঙালির পাতে ইলিশ৷ থাকবেই। ইলিশ পদ্মার হোক কিংবা গঙ্গার পাতে এই স্বাদ থাকবেই। তবে ইলিশ শুধু স্বাদেই নয় পুষ্টিতেও ভরপুর। অনেকেরই এই তথ্যটা অজানা যেয় ইলিশ খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। ইলিশে রয়েছে আরও পুষ্টিগুণ। তেলযুক্ত মাছ খেলে পেটের সমস্যা অনেক কম হয়৷ আলসার, কোলাইটিসের মতো সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যসিড।
মস্তিষ্ক: মস্তিষ্কের ৬০% ফ্যাট দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে অধিকাংশই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছ খেলে তাঁদের বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম দেখা যায়। শিশুদের মস্তিষ্কের গঠনেও সাহায্য করে ডিএইচএ। ইলিশ মাছ স্মৃতিশক্তি, পড়াশোনায় মনযোগ বাড়াতে সাহায্য করে৷
অবসাদ: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক অবসাদের মোকাবিলা করতে সক্ষম৷ ফলে ইলিশ খেলে, তা মানসিক অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে৷ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷
ত্বক: ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচায় ওমেগা ৩। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় মাছ থাকলে একজিমা, সোরেসিসের মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা থেকে ত্বককে বাঁচানো সম্ভব। ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজন ত্বক টাইট ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
ফুসফুস: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সামুদ্রিক মাছ খেলে, তা ফুসফুস ভাল রাখতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোধ করতে সক্ষম ইলিশ মাছ। নিয়মিত মাছ খেলে ফুসফুস অনেক বেশি শক্তিশালী থাকে৷
চোখ: তেলযুক্ত মাছ খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, চোখ উজ্জ্বল হয়। বৃদ্ধকালে দৃষ্টিশক্তি বজায় সাহায্য করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ মোকাবিলা করতেও সক্ষম৷ ইলিশ মাছে রয়েছে আয়ডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। থায়রয়েড, গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়ডিন, এছাড়াও ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি৷
ইলিশ মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে৷ ফলে হার্ট ভালো রাখে৷ ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে৷ থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।