নয়াদিল্লি: সন্দেহ ধীরে ধীরে বিশ্বাসে পরিণত হচ্ছে। ভারতবর্ষে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। দিনপ্রতি সংক্রমণ তার ইঙ্গিত দিচ্ছে খুব স্পষ্টভাবে। গত একদিনে দেশে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৯৫১! যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সুতরাং হলফ করে বলা যায়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই সংক্রমণের হার আরো বৃদ্ধি পাবে।
নতুন বছর শুরুর দিক থেকে করানো ভাইরাস সংক্রমণের হার কিঞ্চিৎ কমে গিয়েছিল। এদিকে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবার জন্য দেশবাসীরা ভেবেছিল যে এবার হয়তো ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের একবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে ভারতকে। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা যেখানে দেড় শতাংশের নিচে নেমে গেছিল, সেটি এখন প্রায় তিন শতাংশ! চিকিৎসক মহলের মত, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বাড়লে সংক্রমণের হার স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। তাই আগের মত সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাতে, কারণ এখন আর কেউ আগের মত করোনাভাইরাস নিয়মবিধি মানছে না। এখনো দেশের মধ্যে সবচেয়ে অবস্থা খারাপ মহারাষ্ট্রের, সেখানে কত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০,০০০ জন! সেই রাজ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ! মহারাষ্ট্রের পর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের রাজ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুটি জেলাতেই ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ির জমায়েত করোনা বাড়ার অন্যতম কারণ! বলছে নীতি আয়োগ
বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন সামাজিক দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠেছে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার কমেছে, উল্টে জায়গায় জায়গায় অবাধ মেলামেশা এবং ভিড় বাড়ছে। তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে যে দুটি নতুন প্রজাতি ধরা পড়েছে ভারতবর্ষে সেটি নিয়েও আলাদা দুশ্চিন্তা রয়েছে চিকিৎসক মহলে। এর পাশাপাশি রয়েছে বিয়ে বাড়ি এবং অনুষ্ঠান বাড়ির জমায়েত। নীতি আয়োগ অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই সমস্ত জমায়েত থেকে ভাইরাস সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।