পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ পটাসিয়াম সোডিয়ামের প্রভাব ভাবে হ্রাস করে৷ উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীর লবণযুক্ত খাবার এড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা৷ লবণ রক্ত প্রবাহের মধ্যে সোডিয়াম বৃদ্ধি করে৷ এটি কিডনির জল অপসারণের ক্ষমতা হ্রাস করে৷ ফলে দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপ৷ যা কিডনির দিকে পরিচালিত রক্তবাহী ধমনীতে অতিরিক্ত তরলের চাপ বাড়ায়৷ উচ্চ রক্তচাপের জন্য পটাসিয়ামের গুণ খুবই বেশি৷ যত বেশি পটাসিয়াম খাবেন তত বেশি সোডিয়াম প্রস্রাব হয়ে বেরিয়ে যাবে৷
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ১২০/৮০ এর উপরে রক্তচাপের মানুষদের জন্য খাবারে পটাসিয়াম বৃদ্ধি করা দরকার৷ তবে, বাড়তি পটাসিয়াম গ্রহণ করলে কিডনির রোগীদের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে৷ তা করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ থাকা মানুষদের জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:
গড় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পটাশিয়ামের দৈনিক মাত্রা হল ৪.৭ গ্রাম। ফল, সবজি, কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধ, মাছ, কলা, অ্যাভাকাডো, খেজুর, সবুজ, মটরশুটি, আলু, মাশরুম, প্রুনস, রেইজিন, ডেটস ও টমেটো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ৷ তবে, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপের লোকেদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনধারা অপরিহার্য৷ নিয়মিত ব্যায়াম, কম চাপ, যথোপযুক্ত ঘুম, ধূমপান বা মদ থেকে দূরে থাকা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
অত্যধিক পটাসিয়াম কীভাবে এড়াবেন?
পটাসিয়াম একেবারেই বেশি খাবেন না। এটি কিডনির রোগের জন্য বিশেষত ক্ষতিকারক হতে পারে। সঠিকভাবে কাজ না করা কিডনি রক্ত থেকে পটাসিয়াম অপসারণ করতে ততটা সক্ষম নয়৷ হাইপারক্যালিমিয়া দেখা যেতে পারে শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে। পেটের রোগ ছাড়াও দুর্বলতা বাড়া, কম এবং অনিয়মিত পালসের সমস্যা হতে পারে। পটাসিয়াম উচ্চ মাত্রায় আপনি অজ্ঞানও হতে পারেন৷ শুধুমাত্র খাদ্য উৎসের মাধ্যমে আপনার দেহে পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না। পটাসিয়াম খাওয়ার আগে সর্বদা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন৷