নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। এদিকে আবার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনএর হানা। দুইয়ে মিলিয়ে বিশ্বের মানুষ নাজেহাল। দিন দিন আবারও বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। টিকাকরণ চলতে থাকলেও দৈনিক সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না সেভাবে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আগেই এবার নতুন আতঙ্ক, ফ্লোরোনা। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন যে, করোনা এখন ফ্লোরোনা হয়ে গিয়েছে! কী এই নতুন রোগ?
সম্প্রতি ইজরায়েলে এক মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বলে খবর ছিল। তিনি একটিও ভ্যাকসিন নেননি। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এতি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। আসলে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা মিলে এই রোগ সৃষ্টি করে। ফ্লোরোনা করোনাভাইরাসের কোনও মিউট্যান্ট রূপ নয়। করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণু যদি কারও শরীরে একই সঙ্গে বাসা বাঁধে তবে তাকে ফ্লোরোনা বলা হচ্ছে। ফ্লোরোনাতে আক্রান্ত হলে গলা ব্যথা,সর্দি, জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্যথার মতো প্রাথমিক উপসর্গগুলি দেখা দেয়। তবে করোনা আক্রান্ত হলে স্বাদ, গন্ধ চলে যাওয়ার বিষয়টি ফ্লোরোনাতে ঘটে না। যদিও জানা গিয়েছে, কোভিডের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ শরীরকে মারাত্মক দুর্বল করে দেয়। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট করে দিতে সক্ষম এই ‘ফ্লোরোনা’। এই প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিতে হবে। তাহলেই ভয়াবহতা কম হবে।
আরও জানা গিয়েছে, এই ফ্লোরোনা করোনা ভাইরাসের মতই হাঁচি, কাশি, ড্রপলেট দিয়ে ছড়াতে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি এতে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৯ দিন সময় লাগবে। আগেই আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছিল যে, চলতি বছর এই ‘টুইনডেমিক’ অর্থাৎ দুই ভাইরাসের মিলিত আক্রমণ, বড় আকার ধারণ করতে পারে বিগত বছরগুলির তুলনায়। সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে শুরু হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট। শীতকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে সেটি।