আজ বিকেল: অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর বিরধুনগর জেলার সরকারি হাসপাতালে। কিছুদিন আগেই বছর চব্বিশের ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাই চলতি মাসের তিন তারিখে তাঁকে বিরধুনগর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেন তাঁর স্বামী। সেখানেই তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত এসেছিল হাসপাতালের নিজস্ব ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে।সেটি স্থানীয় শিবকাশি এলাকায় অবস্থিত। বলাবাহুল্য, রক্তদাতার থেকে রক্ত নেওার আগে বা পরে কোনও রকম পরীক্ষানীরিক্ষা করেনি ব্লাডব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তাই ব্লাডব্যাঙ্কে যে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত জমা হল,তা জানতেই পারেনি কেউ। পরে হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন হলে সেই সংক্রামিত রক্তই ওই গৃহবধূকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দপ্তর। বিতর্ক এড়াতে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এদিকে স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত গিয়েছে জানতে পেরেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন স্বামী। সেইসঙ্গে শিবকাশি ব্লাডব্যাঙ্কের তিন কর্মীকে বরখাস্তও করা হয়েছে। অভিযোগ, কর্মীরা শুধু এই মহিলাকে সংক্রামিত রক্ত দিয়েছে তাই নয়, সংশ্লিষ্ট রক্তদাতাকেও সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনও খবর দেয়নি। তাই ওই ব্যক্তিও জানতেন না যে তিনি এই এইচআইভি আক্রান্ত।
সম্প্রতি বিদেশ চাকরির সুযোগ পান তিনি। চলতি ডিসেম্বরেই সেখানে যাওয়ার কথা। তার আগে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। প্যাথলজি ল্যাবে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতেই তিনি জানতে পারেন এইচআইভির পাশাপাশি তিন হেপাটাইটিস-বিতেও আক্রান্ত। এরপরেই তাঁর খেয়াল হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে স্থানীয় সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত দিয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে জানান, তিনি এইচআইভি আক্রান্ত,যদিও ততক্ষণে সেই রক্ত ওই গৃহবধূর শরীরে চলে গিয়েছে। বলা বাহুল্য, ওই যুবক সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কে না জানলে এই তথ্য অজানাই থেকে যেত এমনকী, ওই ল্যাবকর্মীদের অসহযোগিতা কখনওই সামনে আসত না। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই যুবকেরও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতিতে জনমানসে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে।