নয়াদিল্লি: চলতি বছরের শুরুতে যখন করোনোভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে যায় তখন অনেকেই ভেবেছিল এবার হয়তো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। কিন্তু এখন সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়েছে। যতদিনে করছে সংক্রমণের হার তত বেশি বাড়ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হল যে, দেশের সব মানুষকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। অর্থাৎ, দেশের প্রত্যেক নাগরিক ভ্যাকসিন পাবেন না।
কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে, করোনাভাইরাস যে ধরনের ভাইরাস তাতে সব মানুষের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ যদি তা নেন তাহলেই এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব। কারণ সেই শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে করোনার। তাই আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে স্বাভাবিকভাবেই। সেই কারণে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেই কারণেই ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশ, প্রবীণ নাগরিক এবং কোমর্বিডিটি থাকা রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়তা তাদের রয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার পড়বে না।
আরও পড়ুন- চিনে যেতে হলে নিতে হবে চিনা ভ্যাকসিনই! নয়া নির্দেশিকা জারি করল বেজিং
চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এদের এখন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মূলত মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে খারাপ হলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে দিনপ্রতি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে লকডাউন হতে পারে একাধিক রাজ্যে। সম্প্রতি একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কার সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী সকলকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসক মহলও সাধারণ মানুষকে আগের মতো সচেতন হতে বলছে এবং মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ আরো চারটি রাজ্যের আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন শুরু। তাই স্বাভাবিকভাবে এই কয়েকটি রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা।