করোনার চিকিৎসায় DRDO-র ওষুধ! আগামী সপ্তাহেই আসতে পারে বাজারে

করোনার চিকিৎসায় DRDO-র ওষুধ! আগামী সপ্তাহেই আসতে পারে বাজারে

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত কাবু ভারত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখন সেটা নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে কারণ ভ্যাকসিনের আকাল। এদিকে সংক্রমণের পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাব থাকায় মৃত্যু হচ্ছে বহু করোনা আক্রান্ত রোগীর। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর শোনাল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় DRDO-র ওষুধকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে তারা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে এই ওষুধ।

জানা গিয়েছে, ২ডিজি নামের এই ওষুধের প্রথম ব্যাচে থাকবে ১০,০০০ ডোজ। এই ওষুধ সরাসরি করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে, DRDO-র একদল বৈজ্ঞানিক এই ওষুধ তৈরি করেছেন এবং এই ওষুধের উৎপাদন আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। এই ওষুধের যে ট্রায়াল হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে যে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর শরীরে অক্সিজেনের নির্ভরতা কমাতে এটি সক্ষম। আরও জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং সাফল্য পাওয়া গেছে। তাই এই ওষুধ বাজারে আসছে এমন খবর আসার পর স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহলে। 

এদিকে আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চূড়ান্ত সতর্ক বার্তা দিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে। আবারো একবার দাবি করা হয়েছে যে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। জানানো হয়েছে, সংক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছর অবস্থা আরো শোচনীয় হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাঁচ মাস অতিক্রান্ত, পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্যই বিশেষ নজর রয়েছে ভারতের ওপর বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে সব থেকে অবস্থা খারাপ ভারতের। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে জাপানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + seven =