কলকাতা: বিশ্বজুড়ে এখন করোনা ভাইরাস ছেয়ে আছে। সংক্রমণ ছড়ানোর ২ বছর পার হলেও এখনই স্বস্তি মিলছে না বরং নয়া প্রজাতির বাড়বাড়ন্তে অস্থির সকলে। দিন দিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই কোভিড বিধি মেনে চলা একমাত্র বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেই বারবার সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই কোভিড বিধি মানার সবথেকে প্রথম ধাপ হল মাস্ক পরা। কিন্তু এই নিয়ে মানুষের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরে থাকলে কি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাবে? বাড়বে কার্বন ডাই অক্সাইড? চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এটা বাস্তব নয়।
আরও পড়ুন- করোনা স্ফীতির মাঝে কী ভাবে সুস্থ থাকবেন? দাওয়াই দিল আয়ুষ মন্ত্রক
অনেকেরই অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকে শ্বাসকষ্ট হয়, হাঁসফাঁস শুরু হয়ে যায়। তারা মনে করে যে, শরীরে অক্সিজেনের অভাবের জন্যই হয়তো এমনটা হচ্ছে। কিন্তু আসল ব্যাপার সেটা নয়। চিকিৎসকদের একটা অংশের বক্তব্য, মাস্ক পরার সঙ্গে শরীরের অক্সিজেন কমে যাওয়ার কোনও সংযোগ নেই। কারণ যদি থাকত তাহলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা দীর্ঘক্ষণ এইভাবে মাস্ক পরে থাকতে পারতেন না। তাদের নিজেদের সমস্যা হত কিন্তু তা হয় না। মাস্ক পরলে একটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে ঠিকই, গরম লাগতে পারে, কিন্তু অক্সিজেন কমে গিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়া কার্যত সম্ভব নয়।
তবে এই প্রেক্ষিতে অনেকেই জানতে চান কত বার একই মাস্ক পরা উচিত। মূলত এন৯৫ মাস্ক নিয়ে ধন্ধ মানুষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাস্কের গায়ে একবার ব্যবহারের কথা বলা থাকলেও, সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে একটি মাস্ক বেশ কয়েক বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এন৯৫-এর গায়ে এক বার পরিধানযোগ্য কথাটি লেখা থাকে কারণ, এই ধরনের মাস্ক সাধারণত চিকিৎসকরা ব্যবহার করে থাকেন। একজন চিকিৎসক কোনও কোভিড আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার পর একজন সুস্থ ব্যক্তির কাছে যান, যাতে সেই সময় সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্যেই মাস্কের গায়ে এক বার ব্যবহারের কথা উল্লেখ থাকে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মানুষ এন৯৫ মাস্ক একাধিকবার ব্যবহার করতেই পারে।