নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস নিয়ে বিগত ২ বছর ধরে একের পর এক আলোচনা হয়েছে। এখনও বিস্তরভাবে আলোচনা চলছেও। সাধারণ সর্দি-জ্বর হলেও অনেক সময় মনে হচ্ছে যেন কোভিড হয়েছে কারণ দুই রোগের উপসর্গ প্রায় এক। কিন্তু উপসর্গ এক মনে হলেও কিছু তফাৎ রয়েছে সাধারণ সর্দির সঙ্গে করোনার। যে তফাৎ বুঝে গেলে অনেক আগে থেকেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।
মূলত তিন ধরণের রোগের উপসর্গ প্রায় এক। করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাধারণ সর্দি। এদের মধ্যে ‘খুশখুশে কাশি’ বাকি দুটোয় দেখা গেলেও সাধারণ সর্দিতে দেখা যায় না। আবার ‘নাক বন্ধ’ সমস্যা সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জাতে দেখা গেলেও কোভিড তা বিরল। শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা কোভিডে দেখা গেলেও সর্দি হলে তা খুব একটা দেখা যায় না। অন্যদিকে হাঁচির সমস্যা সর্দিতেই সবথেকে বেশি দেখা যায়, কোভিড বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় নয়। তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা করাচ্ছেন না অনেকেই। এড়িয়ে যাচ্ছেন সাধারণ সর্দি কাশি ভেবে। এটা একদমই উচিত নয়। তারা আরও দাবি করছেন, টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই ওইভাবে বলা যাবে না যে কার কখন করোনা হল বা হল না, যদি সে পরীক্ষা না করায়। তাই তাদের পরামর্শ, সকলে পরীক্ষা করান তা যেই উপসর্গ আসুক না কেন।
এদিকে আবার এক গবেষণা দাবি করেছে যে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিখরে পৌঁছবে দেশের ভাইরাস সংক্রমণ এবং জানুয়ারী মাসেই দিন প্রতি ১০ লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনই এই চরম পর্যায়ের জন্য দায়ি হবে বলে দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়। ইতিমধ্যেই মাত্র কয়েক দিনেই দেশের আক্রান্ত ১ লক্ষের ওপর চলে গিয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ১০ হাজারের নীচে ছিল। তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, আগামী দিন পরিস্থিতি কোন জায়গায় যেতে চলেছে।