সুরক্ষার প্রশ্নে কেন ট্রায়াল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি? সেরামকে শোকজ নোটিশ ডিজিসিআইয়ের

 ডিজিসিআই-এর বক্তব্য গত ২ আগস্ট তারা কোভিশিল্ড-এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অনুমোদন দিলেও, নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নে কেন সেরাম তাদের  ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নয়াদিল্লি: এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে সম্ভাবনাময় করোনা প্রতিষেধক অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউট ও ফার্মা জায়েন্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি 'কোভিশিল্ড'। তবে সম্প্রতি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ গ্রহণকারী  ব্রিটেনের এক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপরেই মঙ্গলবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এরপর, আমেরিকা সহ চারটি দেশ এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট বুধবার জানিয়ে দিয়েছে ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল জারি থাকবে।

বুধবার সেরাম তাদের এই সিদ্ধান্ত কথা জানানোর পরেই এর কারণ দর্শাতে সংস্থাটিকে শোকজ নোটিশ পাঠাল দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিআই। নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল  বন্ধ রাখার বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিদ্ধান্তের কথা কেন তাদের জানায়নি স এবং কেন ট্রায়ালে অংশ গ্রহণকারীদের বিস্তারিত তথ্য আমেরিকায় পাঠানো হয়নি। প্রথম পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অভূতপূর্ব সাড়া মেলার পর ইতিমধ্যেই ভারতেও এই ভ্যাকসিনে ট্রায়াল শুরু হয়েছ। আগামী সপ্তাহ থেকে এর তৃতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালও শুরু  হতে চলেছে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।   এর আগে সেরাম ইনস্টিটিউট অবশ্য জানিয়েছিল, যে তারা ডিজিসিআইয়ের নির্দেশ অনুসারেই চলছে এবং এখনও পর্যন্ত ট্রায়াল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ডিসিজিআইয়ের  এই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ থাকলে তারা তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করবে এবং তাদের নির্দিষ্ট প্রোটোকলগুলি মেনে চলবে।

 

তবে ডিজিসিআই-এর বক্তব্য গত ২ আগস্ট তারা কোভিশিল্ড-এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অনুমোদন দিলেও, নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নে কেন সেরাম তাদের  ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়নি।নোটিশে ডিজিসিআই আরও উল্লেখ করেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ঘোষণার পরেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দঃ আফ্রিকা তাদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল যে ওই স্বেচ্ছাসেবী “অজানা রোগে” ভুগছিলেন এবং ওষুধের পরীক্ষায় এ জাতীয় বিরতি একটি “রুটিন”। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, অ্যাস্ট্রাজেনিকার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অসুস্থ অংশগ্রহণকারীর নির্দিষ্ট রোগের বিষয়ে  খুব তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হওয়া গেছে। উইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, যে ব্রিটেনের ওই স্বেচ্ছাসেবীর ট্রান্সভার্স মেলাইটিস ধরা পড়েছিল, সাধারণত মেরুদণ্ডের প্রদাহ যা সাধারণত সংক্রমণের কারণে ঘটে থাকে, তবে সেই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *