অবশেষে স্বস্তি, অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র ভারতের

এত মাসের অপেক্ষার অবসান হলো নতুন বছরের শুরুর দিনেই। দেশবাসী পেল স্বস্তির খবর। নতুন বছরের প্রথম দিনেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

নয়াদিল্লি: এত মাসের অপেক্ষার অবসান হলো নতুন বছরের শুরুর দিনেই। দেশবাসী পেল স্বস্তির খবর। নতুন বছরের প্রথম দিনেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের ছাড়পত্র পেয়ে গেল অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফর্মুলায় এদেশে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেই ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দেওয়া হল আজ।

নভেম্বর মাসে জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি চেয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট কিন্তু সেই সময় তা খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এবং তার অধিনস্ত ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটি। সেই সময় বলা হয়, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল’ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড দাবি করছে তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। অন্যদিকে সেরামের কর্ণধার তিনিও বলেছেন কোভিশিল্ড যথাযথভাবে ট্রায়ালে সফল হয়েছে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। তাই টিকাকরণের জটিলতা থাকার কথা নয়। সেই দাবি অনুযায়ী অবশেষে সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত রেগুলেটরি কমিটি। প্রসঙ্গত এই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং ফাইজারের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ট্রায়ালে রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে আগে সেরামের ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটির পরীক্ষামূলক কাজ এখনো বাকি। 

এ দিনই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। রয়টার্স সূত্রে খবর, অক্সফোর্ড অ্যাসট্রোজেনকার ভ্যাকসিনটিকেই ছাড়পত্র দিচ্ছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে ব্রিটেন এবং আর্জেন্টিনার পরে ভারতই হবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ব্যবহাকারী তৃতীয় দেশ।উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০,০৩৬ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ২৫৬ জন। করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩,১৮১ জন। গোটা দেশে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,০২,৮৬,৭১০ জন। মারা গিয়েছেন মোট ১,৪৮,৯৯৪।এদিকে, ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। প্রায় ২৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। তারমধ্যে কলকাতার এক যুবকও রয়েছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *