নয়াদিল্লি: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে গোটা দেশ এবং বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস টিকাকরণ। ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও কোন ভ্যাকসিন সবথেকে বেশি কার্যকরী বা কোনটিই নয় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলছে। গবেষকদের একাংশ কোন একটি নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের কথা বললে পণ্য একাংশ অপর একটি ভ্যাকসিনের কথা বলছে। যদিও সর্বসম্মতভাবে স্পষ্ট করা হচ্ছে যে ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যথেষ্ট বেশি কার্যকরী। এবার গবেষকদের গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে অক্সফোর্ডের তথা ভারতের সেরা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে। মনে করা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন আজীবন ভাইরাস থেকে রক্ষা দিতে পারে মানব শরীরকে।
সুইজারল্যান্ড এবং ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা শুরু করেছিলেন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে। তারা তাদের গবেষণায় জানাচ্ছেন, এই ভ্যাকসিন যেহেতু অ্যাডিনো ভাইরাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাই এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে আজীবন সুরক্ষা দিতে পারে। এর কারণ, অ্যাডিনো ভাইরাস মানুষের শরীরের গঠনের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত। তাই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিলে অ্যাডিনো ভাইরাস মানবদেহের ফাইব্রোব্লাস্টিক রেটিকিউলাস সেলে ঢুকে পড়ে। এই ধরনের কোষ দীর্ঘায়ু হয়। শরীরে ঢোকার পর ‘আইএল৩৩’ সাইটোকাইন নিঃসরণ হয়। যা মানবদেহে মজুত টি সেলের ট্রেনিংয়ের পরিবেশ তৈরি করে। টি সেল এমনভাবে ‘ট্রেনিং’ পায় যে ভিন্ন চেহারা নিয়েও করোনা শরীরে প্রবেশ করলে তাকে চিনে নিয়ে শেষ করার ক্ষমতা রাখে। এই কারণেই এই ভ্যাকসিন ‘লাইফটাইম প্রোটেকশন’ দিতে পারবে বলেই ধারণা।
আরও পড়ুন- শহিদ দিবসে দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী, খুনের নেপথ্যে কে? তদন্তে পুলিশ
আসলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন অ্যাডিনো ভাইরাসের খোলের মধ্যে করোনার স্পাইক প্রোটিন ভরে তৈরি করা হয়েছে। যার জেরে কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজই আজীবন করোনা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ভ্যাকসিন হল এই কোভিশিল্ডই। শুরু এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখন একাধিক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে এই ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী। শুধু সাধারণ নয়, একাধিক প্রজাতির বিরুদ্ধেও লড়তে সক্ষম।