করোনার ‘ডেল্টা’ প্রজাতির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী কোভিশিল্ড? প্রকাশ্যে তথ্য

করোনার ‘ডেল্টা’ প্রজাতির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী কোভিশিল্ড? প্রকাশ্যে তথ্য

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু ভাইরাসের নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগ বজায় রাখছে সকলের। মূলত করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতিকে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সকলের কপালে। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় করোনাভাইরাস প্যানেলের প্রধান। 

জানানো হয়েছে, ডেল্টা প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের একটি ডোজ ৬১ শতাংশ এবং দুটি ডোজ ৬৫ শতাংশ কার্যকরী। ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের গবেষণার প্রেক্ষিতে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এক রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, ডেল্টা প্রজাতির মোকাবিলায় ফাইজারের টিকাই সবথেকে বেশি কার্যকরী। তবে ভারতের সেরামের কোভিশিল্ডও যথেষ্ট কাজ করবে সেই উল্লেখ করা হয়েছিল। এখন ভারতের করোনা প্যানেল এর স্বীকৃতি দিল। তবে ল্যানসেট এক রিপোর্টে দাবি করেছিল যে, ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ কমাতে গেলে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমাতে হবে। যাতে অস্বস্তি বেড়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণে এখানে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজের ব্যবধান নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে।

টিকাকরণ ইস্যুতে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপের সব সদস্য ভ্যাকসিনের ব্যবধান বাড়ানোর কথা বলেছিল বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে যে ওই গ্রুপের কমপক্ষে তিনজন বিশেষজ্ঞ ভ্যাকসিনের ডোজের ব্যবধান বাড়ানোর পক্ষে কথা বলেনি। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, ব্রিটেনে যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদের দুটি ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছে এবং সেই কারণেই বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁটিয়ে দেখে ভারতেও একই নিয়ম চালু করা হয়েছে। যদিও এখন ব্রিটেনে দুটি টিকার ব্যবধান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ বহাল রাখা হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি টিকার ব্যবধান বাড়ানোর সুপারিশের জন্য যে তথ্যের প্রয়োজন ছিল তা কমিটির হাতে ছিল না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *