করোনা টিকা আবিষ্কারে আরও একধাপ এগোল ভারত, অনুমতি পেল সিরাম

 দ্রুত নিয়ন্ত্রক প্রতিক্রিয়া হিসাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রায়ালের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রার্থীর উপর প্রাপ্ত তথ্য বিবেচনার পরে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার করেন এবং ভারতের স্বাস্থ্যকর প্রাপ্তবয়স্কদের উপর 'কোভিশিল্ড' নামক সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সুপারিশ করেন।

নয়াদিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এযাবৎ পরীক্ষায় সফল কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন  দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল পরিচালনার জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) কে সম্মতি দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।

সরকারী আধিকারিকরা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে কোভিড -১৯-এর সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির (এসইসি) সুপারিশের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি গভীরভাবে মূল্যায়নের পর রবিবার রাতে  এসআইআই কর্তৃক দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনায় ছাড়পত্র দিয়েছেন ডিসিজিআই-এর ডাঃ জি জি সোমানী।   এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আগে ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডের (ডিএসএমবি) দ্বারা মূল্যায়নকৃত সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সিডিএসসিওতে জমা দিতে হবে সিরাম ইনস্টিটিউটকে।”

তিনি আরো জানান”অধ্যয়নের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে (প্রথম ডোজ প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় ডোজ ২৯ তারিখে) এরপর এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা  মূল্যায়ন করা হবে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত নিয়ন্ত্রক প্রতিক্রিয়া হিসাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রায়ালের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রার্থীর উপর প্রাপ্ত তথ্য বিবেচনার পরে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার করেন এবং ভারতের স্বাস্থ্যকর প্রাপ্তবয়স্কদের উপর 'কোভিশিল্ড' নামক সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সুপারিশ করেন গত শুক্রবার। বর্তমানে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের  দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে যুক্তরাজ্যে, ব্রাজিলে চলছে এর তৃতীয় পর্যায়ের  ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *