জেনেভা: ২০১৯ সালের শেষ থেকেই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল করোনা ভাইরাস। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে মাত্র কয়েক মাসই সময় নিয়েছিল। তারপর কী হাল হয়েছিল সমগ্র বিশ্বের তা সকলের জানা। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কার্যত শঙ্কা ছিল ভীষণভাবে। তারপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও তা পুরোপুরি আশঙ্ক মুক্ত হয়নি। আর এটাই এখন বার্তা দিয়ে বলতে চাইছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন- করোনা না কি সাধারণ ফ্লু? বুঝবেন কী ভাবে? দুইয়ের উপসর্গ কি আলাদা?
গোটা বিশ্বের জন্য জনস্বাস্থ্যে এখনও উদ্বেগের বিষয় করোনা অতিমারি। সোমবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ‘হু’। তাঁদের বক্তব্য, অতিমারি পর্যায় এখন বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভাইরাস ইতিমধ্যে একাধিকবার নিজের রূপ বদলে ফেলেছে এবং বিশেষজ্ঞরা তার নেতিবাচক দিক ইতিমধ্যে দেখে নিয়েছে, তা নিয়ে গবেষণাও চলছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্পষ্ট বক্তব্য, অতিমারি যে চলে গিয়েছে তা ভাবার কোনও জায়গাই নেই। তবে এখনও সংক্রমণ রুখতে টিকার ওপরই জোর দিচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ যে নিম্নমুখী তা বলাই যায়। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত তা শূন্য হচ্ছে ততদিন চিন্তা।
অন্যদিকে সম্প্রতি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট ক্যাম্পবেল রে সংবাদমাধ্যমের সামনে করোনা নিয়ে তাঁর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন৷ তাঁর আশঙ্কা, করোনার নতুন একটি ঢেউ আসতে চলছে। তার সঙ্গেই ঢুকে পড়বে করোনার নতুন রূপ। বেশ কয়েকটি প্রজাতি এবং উপপ্রজাতি মিলে নতুন একটি রূপের জন্ম দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে৷