কলকাতা: গত ১৬ জানুয়ারিতে সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন দেওয়া দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো বিতর্ক তুঙ্গে, সেটি হল কোভ্যাক্সিন। এবার সেই বিতর্কিত ভ্যাকসিন চলে এল পশ্চিমবঙ্গেও। ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনের ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩২৬ টি ডোজ এসে পৌঁছেছে বাংলায়।
জানা গিয়েছে মোট ডোজের ১ এক লক্ষ ১২ হাজার ৯৬০ টি ডোজ থাকবে বাগবাজারে এবং বাকি ৫৫ হাজার ৩৬৬ টি ডোজ থাকবে হেস্টিংসের কেন্দ্রের ভ্যাকসিন স্টোরে। পরবর্তী ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বন্টন কিভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার দুটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছিল, একটি এই কোভ্যাক্সিন, অন্যটি কোভিশিল্ড। সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন নিয়ে কোনোরকম সমস্যা বা বিতর্ক তৈরি না হলেও কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। অভিযোগ তোলা হয়, ট্রায়াল সম্পূর্ণ সম্পন্ন না হওয়ার আগেই এই ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের তরফ স্পষ্ট জানানো হয় সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সে নিয়ে খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারেনি অভিযোগকারীরা। এদিকে অবশেষে জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম দফার ট্রায়ালকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে ল্যানসেট। যদিও তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনো চলছে।
এদিকে ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন টিকা নিতে গেলে গ্রাহকদের বিশেষ অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। যদি কারোর জ্বর, অ্যালার্জি কিংবা রক্ত তঞ্চন জনিত সমস্যা থাকে, তবে তাঁদের কোভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া কোভ্যাকসিন এড়িয়ে যেতে হবে অন্ত্বঃসত্ত্বা মহিলা কিংবা স্তন্যদাত্রীদের। ভারত বায়োটেকের তথ্য অনুযায়ী, কোভ্যাক্সিনে ৬৪ গ্রাম হোল-ভিরিয়ন মৃত সার্স-কোভ-২ অ্যান্টিজেন (স্ট্রেন : এনআইভি-২০২০-৭২০), অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড জেল (২৫০ মাইক্রোগ্রাম), টিআরআর ৭/৮ অ্যাগনিস্টের (১৫ মাইক্রোগ্রাম) রয়েছে। অন্যদিকে, যাঁদের অ্যালার্জি আছে তাঁদের কোভিশিল্ড না নেওয়ার পরামর্শই দিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলেও টিকা না নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোভিশিল্ডে রয়েছে এল-হিস্টিডিন, এল-হিস্টিডিন হাইড্রোক্লোরাইড মনোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট, পলিসরবেট ৮০, ইথানল, সুক্রোজ, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, ডি-সোডিয়াম ইডিটেট ডিহাইড্রেট।