ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর ‘অবশেষে’ চূড়ান্ত ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ্যে কোভ্যাক্সিনের

ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর ‘অবশেষে’ চূড়ান্ত ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ্যে কোভ্যাক্সিনের

নয়াদিল্লি: জানুয়ারি মাস থেকে ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে। একটি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড এবং অন্যটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী সেই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি কারণ চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট এতদিন বের করা হয়নি। তৃতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। তবে এখন, সেই ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে আনল ভারত বায়োটেক। জানা গেল এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী।

আরও পড়ুন- ‘পুরষরা রোবট নয়, মেয়েদের স্বল্প পোশাক দেখে প্রভাবিত হতেই পারে’, ফের বিতর্কে ইমরান

চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট ছাড়া কেন এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল প্রয়োগের জন্য, তা নিয়ে বিতর্ক ছিল এতদিন ধরে। ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত সেই তথ্য সামনে আসার আগেই এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়ে যায়। এতদিনে দেশের কয়েক কোটি মানুষ কোভ্যাক্সিন পেয়ে গিয়েছেন। পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর অবশেষে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে আনা হল। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিসিআইয়ের কাছে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ২৫,৮০০ জনের ওপরে এই টিকা ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে এটি ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী এবং এই ভ্যাকসিনের গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এতদিন পেশ করা হয়নি তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকায় এটি ছিল না। তবে এখন আশা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সেই তালিকায় স্থান পাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।

আরও পড়ুন- বন্ধ ঘরে হাউ হাই করে কাঁদছি, এবার আমায় মুক্তি দাও, আর্জি কাঞ্চনের

কী কী ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা বানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই তালিকার মধ্যে ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, জনসন এন্ড জনসন এবং সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। এখন আশা করা হচ্ছে এইসব ভ্যাকসিনের পাশে চলে আসবে কোভ্যাক্সিনের নাম। একই সঙ্গে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যে বিতর্ক এতদিন ধরে চলছিল তার একটা মীমাংসা হতে চলেছে বলেও আন্দাজ করা হচ্ছে। যদিও চূড়ান্ত পর্বে ট্রায়াল রিপোর্ট না বেরোনোর আগেই এত মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে চাপা একটা অস্বস্তি কাজ করছে অনেকের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − three =