নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ভারতে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ভারতে আপাতত দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি কোভিশিল্ড, অন্যটি কোভ্যাক্সিন। প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে আপাতত কোনো বিতর্ক না হলেও, দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক মিটছে না। এবার জানা গেল, যারা যারা কোভ্যাক্সিন টিকা নেবেন তাদের এক প্রকার ‘অনুমোদন ফর্ম’-এ স্বাক্ষর করতে হবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়েছে এমন প্রমাণ হলে মিলবে ক্ষতিপূরণ। এই নিয়ে এবার নতুন শোরগোল।
কোভ্যাক্সিন টিকার জন্য যে অনুমোদন ফর্ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে কিছু ঘটে তাহলে সরকারি এবং সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালে সেই রোগী চিকিৎসা পাবেন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভ্যাকসিনের কারণেই হয়েছে এমন প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে টিকা গ্রহণকারীকে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে,যদি এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হয় তাহলে এই ধরনের ফর্মে সই করতে হবে কেন। আর যদি মনে হয় যে এই ভ্যাকসিন এখনো সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয় তাহলে এত তাড়াতাড়ি একে কেন অনুমোদন দেওয়া হল। সব মিলিয়ে আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।
সম্প্রতি আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী এক বিজ্ঞানী ভেঙ্কটরমন রমাকৃষ্ণন জানিয়েছিলেন, এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য এখনও সবার সামনে আসেনি। তাই এই ভ্যাকসিন নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে নির্দিষ্ট এই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই তোপ দেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারতীয়রা কি গিনিপিগ। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যে দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে তারা ১০০% সুরক্ষিত। এদিন টিকাকরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেও একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।