নয়াদিল্লি: নতুন বছরের শুরুতেই বড় সুখবর পেয়েছে দেশবাসী। একটা নয়, দুটো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। তবে অনুমোদন পাওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে কবে থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা সম্ভব হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে দিন কার্যত মিলে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করা হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্যরাও। এই বৈঠক থেকেই জানান হয়েছে, ড্রাই রান নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া মিলেছে তার ওপর ভিত্তি করে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান আগামী ১০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য তৈরি আছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ একথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ভারতের দুটি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড অনুমোদন পেয়েছে। দুটি ভ্যাকসিন যে ১০০ শতাংশ নিরাপদ সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগই শুরু হতে চলেছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। এদের মধ্যে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক, এবং কোভিশিল্ড তৈরি হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং এস্ট্রাজেনেকার মিলিত প্রচেষ্টায়। যা ট্রায়াল করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
প্রাথমিক পর্যায়ে যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে তাদের মূলত চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে রয়েছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশা কর্মীরা। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন পুলিশ, পৌরসভার কর্মীরা। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এমন মানুষ যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। আর চতুর্থ পর্যায় রয়েছেন কোমর্বিডিটি রোগীরা, তাদের বয়স ৫০ বছরের কম বা বেশি হতে পারে। একই সঙ্গে এমন মানুষকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যাদের কাজের সূত্রে সর্বক্ষণ মেলামেশা করতে হয়। এইচআর পর্যায় মিলিয়ে মোট ৩০ কোটি মানুষকে প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন প্রদানের খরচ সম্পন্ন বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন বিতরনের জন্য হাব তৈরি করা হবে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৯ হাজারের বেশি জায়গায় শিবির তৈরি করা হবে যেখান থেকে টিকাকরণ প্রদান করা হবে। টিকা বিতরনের জন্য কমপক্ষে ৩১ টি হাব তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।