কলকাতা: ২০২০ সালের থেকেও চলতি বছর যেন করোনাভাইরাস আরো বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত বছর দিন প্রতি এত বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েনি যতটা এখন পড়ছে। বিগত কয়েক দিনে দিন প্রতি সংক্রমণের বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। দেশের একাধিক রাজ্যের মত বাংলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। সেই প্রেক্ষিতে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে নবান্ন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
চার দফা নির্বাচনে বাংলার ১০ জেলার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এইসব জায়গায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এবার কাজ শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যেভাবে দিন প্রচার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে আরো বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ রাজ্য সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পড়ার মতো বিধি নিষেধ সাধারণ মানুষ মানা কমিয়ে দিয়েছিল। তবে এখন থেকে আবার সেই সব বিধি-নিষেধ মানার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এদিকে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলিতে ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাকে ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থার দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে লকডাউন কার্যকরী হবার কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা কার্ফু জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হবে এবং আরো বেশি করে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে একাধিক রাজ্যের নাইট কার্ফু শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে হয়তো মাইক্রো কনটেনমেন্ট তৈরি হতে পারে খুব শীঘ্রই, এমন আশঙ্কা করছে রাজ্যবাসী। প্রসঙ্গত, শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪,০০০! সর্বাধিক আক্রান্ত কলকাতায় এবং তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।