নয়াদিল্লি: ২০২০ সাল গোটা বিশ্বকে ত্রস্ত করে দিয়েছিল। প্রবল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং লকডাউন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দেশ তথা বিশ্ববাসী। এদিকে ভারত তথা বিশ্বের একাধিক দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভেবেছিল যে এবার হয়তো এই ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে। কিন্তু ঠিক যখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন সকলে ঠিক সেই সময়ে করোনাভাইরাস নিজের পরিকল্পনা হয়তো বদলে দিয়েছে! এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দেশের পাঁচ রাজ্য, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্ণাটক এবং ছত্রিশগড়ে যে হারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ইতিমধ্যেই অশনিসংকেত মিলেছে। দিনপ্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা আবার সেই পুরোনো দিনের আশঙ্কার কথা মনে করাচ্ছে। এই পরিপেক্ষিতে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এসে আছড়ে পড়তে পারে, এমনকি তার থেকে বাদ যাবে না বাংলাও। টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও অসচেতনতা বেড়েছে। মাস্ক না পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা সহ একাধিক বিধি-নিষেধ মানছেন না অনেকেই। সেই ক্ষেত্রে সংক্রমণের আঘাত আরো প্রবল থেকে প্রবলতর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে আগের মতোই সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নতুন বছরের শুরুর দিক থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছিল দেশে কথা বাংলায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি পেলেও এখন হঠাৎ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করেছে। সেই কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, মানুষ যদি আবার আগের মত সচেতন না হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আগের বছরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আবার লকডাউন হলেও অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না।