নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক আপাতত কাটিয়ে উঠতে পেরেছে ভারত কিন্তু এখন রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এরই মাঝে এখন দেশে শুরু হয়েছে উৎসব মরশুম। একদিকে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি অন্যদিকে উৎসবে মাতোয়ারা সাধারণ মানুষ। একাধিক নিয়মবিধি জারি থাকলেও বাস্তবে তা কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর এটাই ভয়ের সবথেকে বেশি কারণ। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে যে লাগাতার উৎসব চলবে তা বলাই বাহুল্য। তাই ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করে জানানো হয়েছে যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে ভারতে।
ভাইরোলজিস্ট ডব্লিউ ইয়ান লিপকিন ইতিমধ্যেই সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারত এখনো করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিরুদ্ধে পুরোপুরি সতর্ক হতে পারেনি। টিকাকরণের হিসাবে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের থেকে ভারত এগিয়ে থাকলেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত স্বস্তি পাওয়ার মাপকাঠিতে পৌঁছতে পারেনি দেশ। তাই তিনি মনে করছেন, যেভাবে ভারতে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছে এবং সময় বিশেষে করোনাভাইরাস নিয়মবিধি সেদিন করে দেওয়া হচ্ছে তা একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয় এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে দেশে। তার এই সতর্কবার্তা আরো বড় কারণ, উৎসবমুখী মানুষের ভিড়। পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো এবং এর পরে রয়েছে একাধিক উৎসব যা চলবে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। তাই অবশ্য হবে এই সময় যে বাড়তি সর্তকতা নেওয়া প্রয়োজন ছিল তা একেবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট।
তিনি আরো জানাচ্ছেন, আপাতত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কতটা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে দেশে তা নিয়েও আলোচনা করছে না এদিকে লকডাউন এবং ভাইরাসের জন্য যে বিধি-নিষেধ তা লঘু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতে এখনো পর্যন্ত ১৮ বছরের নিচের কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি তাই সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত হওয়ার জায়গা এখনো আসেনি। এই কারণেই তিনি অশনি সংকেত দিয়ে বলছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতি যদি বদল করা না যায় তাহলে ভবিষ্যৎ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে।