শেষ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩৫,৮৭১! দেশে কি তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ?

শেষ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩৫,৮৭১! দেশে কি তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ?

নয়াদিল্লি: যেটার আশঙ্কা করা হচ্ছিল আদতে কি সেটাই ঘটে গিয়েছে? ভারতে কি তাহলে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে? পরিসংখ্যান আপাতত তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুনভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫,৮৭১ জন! সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের, তবে তার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের দিনপ্রতি ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগজনক ভাবে। যা অবশ্যই ভাবে নতুন করে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

গত ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩,১৭৯ জন মানুষ, যা ডিসেম্বর মাসের পর সর্বাধিক। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে গত এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৩ জন, যা গত ৪৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ! এদের মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ জন। সবমিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় কেউ হয়তো ইতিমধ্যেই তার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে ভারতবর্ষে। উল্লেখ্য এই মুহূর্তে ভারতের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ০২৫ জন। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেস ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৬৪ জন। যদিও পরিসংখ্যান থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি হলেও এর সিংহভাগ আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই দেশের বাকি রাজ্য নিয়ে তেমন একটা উদ্বেগ না তৈরি হলেও শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। আর পারতপক্ষে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের জন্যই গোটা দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্তের পরিসংখ্যান এত বেশি হয়ে যাচ্ছে। গতকাল একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন এবং কোনভাবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- একসঙ্গে ২টি কেন্দ্রের ভোটার শুভেন্দু! কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

গতকাল প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, অনেক রাজ্য করোনাভাইরাস প্রতিষেধক নষ্ট করছে। করোনাভাইরাস টিকা যাতে কোনভাবে নষ্ট না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে প্রশাসনকে। কেউ যদি নষ্ট করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় এবং ছোট শহরগুলিতে করোনাভাইরাস টিকার ব্যবহার বাড়ানোর দিকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *