নয়াদিল্লি: গতবছর মার্চ মাস থেকে করানো ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল এই দেশে যা এবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আগের তুলনায়। সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার যেমন বাড়ছে তেমনি এখন হঠাৎ অক্সিজেনের আকাশ অনেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। সংক্রমণ আটকানোর জন্য লকডাউন থেকে শুরু করে নাইট কার্ফু, দুটি মাস্কের ব্যবহার সহ পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার মত অনেক নিয়ম লাগু করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও একটা জিনিস থেকে যায় যার জন্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটি হচ্ছে রক্তের গ্রুপ। এমনটাই দাবি করছে কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সিএসআইআর।
তাদের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাদের রক্তের গ্রুপ এবি এবং বি, তাদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি। এদিকে যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। যদিও তারা সংক্রমিত হন তাহলেও তাদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা যাবে বলে জানানো হচ্ছে। সারা দেশ জুড়ে রক্ত নিয়ে সমীক্ষা করেছে সিএসআইআর। ১০ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা চালানো হয় যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ১৪০ জন চিকিৎসক। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর ব্লাড গ্রুপ এবি, তার পরেই রয়েছে বি গ্রুপের রোগীরা। তুলনায় ও গ্রুপের মানুষের সংখ্যা কম যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। দাবি করা হচ্ছে যে, যারা নিরামিষ খাবার খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি হয়, কারণ মূলত শাকসবজি খান তারা। এর পাশাপাশি ফল এবং দুধ থেকে অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে ঢোকে তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৬ জনের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৭ জন। আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২ জন। দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস সামান্য কমে দাঁড়াল ৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২২১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০৪ জন।