করোনা মহামারি! জরুরি অবস্থা ঘোষণার পথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

চিনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে  মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭০-এ পৌঁছেছে এবং ৭০০০ এরও বেশি লোক এখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানিতে এই ভাইরাস আক্রান্তদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নতুন করোনা (২০১৯ এনসিওভি) ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।

ওযাশিংটন: এই মুহুর্তে বিশ্বের ত্রাস করোনা ভাইরাস দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ছে চিনে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে এবার গোটা বিশ্বে আবশ্যিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে বৃহস্পতিবার চিনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে  মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭০-এ পৌঁছেছে এবং ৭০০০ এরও বেশি লোক এখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানিতে এই ভাইরাস আক্রান্তদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নতুন করোনা (২০১৯ এনসিওভি) ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।

চলতি সপ্তাহে চিন পরিদর্শনে গেছিলেন হ(ডব্লুএইচও)-এর ডাইরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহনম ঘেরিবাইসাস। বুধবার তিনি টুইটে জানিয়েছেন, এই ভাইরাস আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হিসেবে জরুরি ঘোষণা করার আগে পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হেলথ রেগুলেশন এমার্জেন্সি কমিটির পরামর্শ নিতে হবে। তাই এবিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তিনি আরও জানিয়েছেন চিনের বাইরে আরও ১৫টি দেশের ৬৮ জনের মধ্যে অন্তত ১জনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও তিনটি দেশ, জার্মান, ভিয়েতনাম ও জাপানে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বের আরও বেশকয়েকটি দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত।

এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সিল করে দেওয়া হয়েছে চিনের উহান শহরে। অত্যন্ত ভীতিকর পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে এই শহরের প্রায় ১১মিলিয়ন মানুষ। এই মুহূর্তে সহমর্মিতা ও সংহতির মনোভাব নিয়ে চিনের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং অতীতের একাধিক মহামারীর কথা মাথায় রেখে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন টেড্রোস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + three =