নয়াদিল্লি: শিশুদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করছে ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রস্তুতকারী ভারত বায়োটেক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। সেপ্টেম্বর মাসে শিশুদের জন্য তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপর শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
তবে শুধু ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন আসছে না। এইমস প্রধানের কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফাইজার এবং বায়এনটেক-ও শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করছে যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ আগেই, ২-১৮ বছর বয়সিদেরও যাতে এই টিকা দেওয়া যায়, তার জন্য ২-৩ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র ভারত বায়োটেককে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। ১৮ বছরের কম বয়সিদের এই টিকা দেওয়ার জন্য ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশনের কোভিড-১৯-এর জন্য তৈরি সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল ভারত বায়োটেকের তরফে। তাতেই সবুজ সংকেত দিয়েছে কমিটি। কোভ্যাক্সিনের ২-৩ পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হলেই এবার ২-১৮ বছর বয়সিদের টিকার চাহিদাও পূরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন- বন্ধ ঘরে হাউ হাই করে কাঁদছি, এবার আমায় মুক্তি দাও, আর্জি কাঞ্চনে
সম্প্রতি, ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এনেছে ভারত বায়োটেক। জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিসিআইয়ের কাছে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছে, দেশের ২৫,৮০০ জনের ওপরে এই টিকা ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে এটি ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী এবং এই ভ্যাকসিনের গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এতদিন পেশ করা হয়নি তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকায় এটি ছিল না। তবে এখন আশা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সেই তালিকায় স্থান পাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।