অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! চলবে এক বছর

অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! চলবে এক বছর

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে এখন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে ভারত। কিন্তু ইতিমধ্যেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে দেশে। তাড়াতাড়ি বলতে চলতি বছরেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের। এমনই বলছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট। মনে করা হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসেই ভারতে শুরু হয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। তবে আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এতোটা প্রভাবশালী হবেনা তৃতীয় ঢেউ।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, ভারতের ৪০ জন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়ে তারা জানতে পেরেছে যে আগামী অক্টোবর মাসেই ভারতে শুরু হয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ, যা চলতে পারে আগামী এক বছর ধরে। তবে আশার ব্যাপার এই যে, করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তৃতীয় ঢেউ এতটা প্রভাবশালী এবং ভয়ঙ্কর হবে না। যদিও শিশুদের নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে কারণ তাদের একমাত্র টিকাকরণ বাকি রয়েছে। এর আগে দেশের চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহল দাবি করেছিল যে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা গেলে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। টিকাকরণ এবং প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না দেশে। সেই কারণে দেশজুড়ে টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বারবার বলা হচ্ছে।

এর আগে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল যেখানে দাবি করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের সবথেকে বেশি আশঙ্কায় থাকবে শিশুরা। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানায় যে শিশুদের জন্য খুব একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার কিছু নেই। যদিও অল্পবিস্তর আশঙ্কা শিশুদের নিয়ে থেকেই যাচ্ছে কারণ দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখনো পর্যন্ত বিরাট উন্নতি করতে পারেনি। তাই একসঙ্গে অনেক শিশু আক্রান্ত হলে দেশ সার্বিকভাবে ভুগবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের। এর আগে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার ৮-৯ মাসের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তবে এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ অনেক আগে আসার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *