নয়াদিল্লি: ‘আলফা’, ‘বিটা’, ‘গামা’, ‘ডেল্টা’, ‘ডেল্টা প্লাস’… করোনার একাধিক প্রজাতি নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী, গবেষকদের চিন্তার শেষ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, ‘ডেল্টা’ হল সবথেকে সংক্রামক প্রজাতি করোনা ভাইরাসের। পৃথিবীর একাধিক দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তৃতীয় ঢেউ নাকি এই প্রজাতির জন্যই আসবে। তবে এখন আবার সকলের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি, ‘ল্যামডা’। মনে করা হচ্ছে, ‘ল্যামডা’ই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সক্রিয় করোনার অন্য প্রজাতিদের তুলনায়।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, পেরু সহ দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে করোনার এই নতুন রূপের সূত্রপাত হয়েছে। সেখান থেকে সব মিলিয়ে পৃথিবীর ৩০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটি বলে দাবি করছে তারা। একই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে এই করোনা প্রজাতি। পাশাপাশি, দ্রুত সংক্রমণের প্রবণতা রয়েছে এই প্রজাতির। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এই প্রজাতির উপর বেশি করে নজর রাখা শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে পেরুতে প্রথম করোনার এই রূপটির সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে চিনের টিকা করোনাভ্যাককে অনায়াসে টেক্কা দিয়েছে ‘ল্যামডা’। যদিও অন্য ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে এই করোনা প্রজাতি একই ভাবে কাজ করবে এমন ভাবার সময় আসেনি বলেই মনে করছেন গবেষকরা। পুরোটাই এখন ভিত্তি করছে পরীক্ষার ওপর।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের কৌঁসুলি পরিচয়ে প্রতারণা সনাতনের, BJP-কে চিঠি কলকাতা পুলিশের
এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে, আগামী দিনে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেবে ‘ডেল্টা’ কারণ ইতিমধ্যেই ১০০ দেশে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাসের এই প্রজাতি। দাবি ছিল, করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির সংক্রামক রূপ সবথেকে বেশি প্রবল। অর্থাৎ এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। তাই অবশ্য ভাবে এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। এখানেই সব থেকে বড় উদ্বেগের ব্যাপার হল, বেশিরভাগ দেশে এই প্রজাতি আটকানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। যার ফলে আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে এই ডেল্টা প্রজাতি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।