নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু এখন একাধিক করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির হদিস মিলেছে যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। টিকাকরণকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বিকভাবে টিকাকরণ গতি বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে নতুন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে ‘ককটেল’ ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এবার এই মিশ্রিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সায় দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
মিশে যাচ্ছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন। ‘ককটেল’ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজে এই মিশ্রিত টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ‘ককটেল’ ভাইরাস কতটা কার্যকরী সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হবে। এর আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর অন্য ধরনের ককটেল ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে। ৬ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথমে কোভিশিল্ড এবং পরে কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরে জানানো হয়েছিল যে এই ‘ককটেল’ ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেয় করোনাভাইরাস প্রজাতির বিরুদ্ধে। যদিও এবার এই মিশ্রিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে চলেছে বলে খবর।
আরও পড়ুন – NRC ঠিক কবে থেকে লাগু? সংসদে স্পষ্ট করল কেন্দ্র
এর আগে অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে দুটি ভ্যাকসিন কোন ভাবেই একই জনকে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যিনি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাকে পরের ডোজে সেটাই নিতে হবে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী ককটেল ভ্যাকসিন প্রয়োগের আলোচনা শুরু হয়। পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত হয় যে দুটি ভ্যাকসিন মিলিয়ে দিলে তার প্রতিক্রিয়া এবং উপকারিতা কী হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই এখন ডিসিজিআই এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চলেছে।