বাড়ছে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান! অভাব মেটাতে পদক্ষেপ?

বাড়ছে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান! অভাব মেটাতে পদক্ষেপ?

নয়াদিল্লি: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনাভাইরাস টিকাকরণ কর্মসূচি। এখন তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবার শুরুতেই গোটা দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিচ্ছে। এমনকি যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজ পর্যন্ত পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হচ্ছে। আগে যেটা ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। 

টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দাবি করা হচ্ছিল যে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে বেশি ব্যবধানে রাখলেই তা সব থেকে বেশি কার্যকরী। এখন সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে মনে করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত পরিকল্পনা করে নিয়েছে কারণ এই মুহূর্তে দেশে ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে। সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার কাজ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও একটি মাত্র ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। আগেই সরকারি এক প্যানেল দাবি করেছিল, যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সদ্য সুস্থ হয়েছেন তাদের কমপক্ষে ছয় মাস পর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এই একই সরকারি প্যানেল জানাচ্ছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করা উচিত এবং কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তার ব্যবধান থাকা উচিত ৪ সপ্তাহ। এবার সরকার সবার জন্যই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করল। 

অন্যদিকে, অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত এবং তাতে কোনো ক্ষতি হয় না বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ‘প্লাসেন্টা’য় কোন ক্ষতি হয় না। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ব্যাপারটিকে আরও সহজভাবে বলতে গেলে, ‘প্লাসেন্টা’ হল বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মত। গর্ভবতী মহিলাদের কোন রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে গেলে দেখা যায় ‘প্লাসেন্টা’ সাহায্য করে কী হয়েছে সেটা বোঝানোর জন্য। সেই প্রেক্ষিতেই দেখা গিয়েছে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এই অঙ্গের কোনরকম ক্ষতি করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *