করোনা রুখতে মরিয়া! সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণের অনুমতি দিল কেন্দ্র

বেসরকারি টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে দামও নির্ধারিত করে দিয়েছে সরকার

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের টিকাকরণের প্রথম ধাপ পেরিয়ে ভারত পা দিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে। দেশের মাটি থেকে করোনা এখনও পর্যন্ত নির্মূল না হলেও এই ভ্যাকসিনের আশ্বাসে অতিমারীর আতঙ্ক কেটে গেছে অনেকটাই। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশ জুড়ে ষাটোর্ধ্ব প্রবীন নাগরিকদের টিকা দান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তা নিয়েই এদিন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল কেন্দ্র। 

আরও পড়ুন-  গুজরাটের পুরভোটে বিরাট সাফল্য বিজেপির! কার্যত মুছে গেল কংগ্রেস

দেশের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেই চালু হবে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া, এদিন এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সরকারের তরফ থেকে আবেদনও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, টিকাকরণে প্রাইভেট হাসপাতালগুলির ক্ষমতার ১০০% সদ্ব্যবহার করা আবশ্যক। মঙ্গলবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনোরকম প্রকল্পের আওতায় নেই, সেগুলিও টিকাকরণের আয়োজন করতে পারবে। 

এদিন কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকাকরণ কেন্দ্রের কাজে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, যদি তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিনেটর অর্থাৎ (যিনি টিকা দেবেন) এবং টিকা নেওয়ার পর রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান, পর্যাপ্ত পরিমাণে কোল্ড চেন অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকে।” বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফে টিকাকরণের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপনের পরেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকাকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া, রাজ্যে রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ভ্যাকসিন কেন্দ্র সরকারের কাছে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ক্রিকেট ম্যাচে পুরস্কার ৫ লিটার পেট্রোল, ছবি ভাইরাল

কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনে চলতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্ধারিত সমস্ত গাইডলাইনও অক্ষরে অক্ষরে পালন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল থেমে থাকার পর ভারতের একাধিক রাজ্যে আচমকাই বেড়ে গেছে করোনা সংক্রমণ যার জেরে ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কপালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *