RAT নয়, করোনা রুখতে RT-PCR টেস্টে জোর দিতে রাজ্যকে আর্জি কেন্দ্রের

উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও র্্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (আরএটি) রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে আরও নির্ভরযোগ্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতির মাধ্যমে আবারও টেস্ট করা হোক।

 নয়াদিল্লি:  এক সপ্তাহের মধ্যে গত বুধবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫,০০০এ পৌঁছে একদিনের নিরিখে নতুন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে র্্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট এর পরিবর্তে আরটি-পিসিআর টেস্ট পদ্ধতির ওপরেই জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ফের আর্জি জানানো হয়েছে যে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও র্্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (আরএটি) রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে আরও নির্ভরযোগ্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতির মাধ্যমে আবারও টেস্ট করা হোক। কোনো একজন আক্রান্ত ব্যক্তিও যেন অসনাক্ত না থেকে যান, সেকথা মাথায় রেখেই টেস্টিংয়ের এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলছে কেন্দ্রের উপদেষ্টা মণ্ডলী। 

 দেশের পাঁচটি রাজ্য থেকেই নতুন করে প্রায় মোট ৬০ শতাংশ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বুধবার শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই নতুন করে ২৩,৫৭৭আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে এবং অন্ধ্র প্রদেশে ১০'৪১৮ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্র জানিয়েছে যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হারে বাড়ছে সেই রাজ্যগুলিতে আরও বেশি করে টেস্ট নিশ্চিত করা হোক। তবে জনসাধারণের আচরণেও যে শিথিলতা দেখা দিয়েছে সবিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে শুধুমাত্র মাসিকের যথাযথ ও ব্যাপক ব্যবহারেই এই রোগের প্রকোপ কমাতে সহায়তা করবে।

এদিকে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোট ১,১৭২ জন করোনা আক্রান্তের  মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬৯%  পাঁচটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল – মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি এবং অন্ধ্র প্রদেশে ভিত্তিক। শুধু মহারাষ্ট্রেই নতুন করে মৃতের সংখ্যা ৩২% ছিল। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের যৌথভাবে লিখিত একটি চিঠিতে কেন্দ্র বলেছে যে র্্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এর অধীনে এই ধরনের উপসর্গ যুক্ত নেগেটিভ রিপোর্টের ক্ষেত্রে যেন আক্রান্ত রোগীরা হাতছাড়া না হয়ে যায় এবং তাঁদের সংস্পর্শে এসে এই রোগ আরও ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিঠিতে আরও একটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল যে  টেস্টের সংখ্যা ও উপলব্ধতা বাড়াতে   আরএটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আরটি-পিসিআর কোভিড -১৯ পরীক্ষার স্বর্ণমান হিসাবে থেকে গেছে। প্রোটোকলগুলি বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। করোনার উপসর্গ যুক্ত নেগেটিভ রিপোর্টের ক্ষেত্রে জোর দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে যে এই ধরনের রিপোর্টের ক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেই ব্যাক্তিদের উপসর্গ নিরাময় না পর্যন্ত টেস্ট চালিয়ে যেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + sixteen =