নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে দেশবাসীর আতঙ্ক আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। ইতিমধ্যেই একে মহামারী ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে মহামারী ঘোষণা করার জন্য। এর পাশাপাশি প্রত্যেক রাজ্য থেকে এই রোগের তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে জানাতে হবে রাজ্যগুলিকে। এর পাশাপাশি যাতে এই রোগকে মহামারী আইনের অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সনাক্তকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে মেনে চলতে হবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাংলাতে এই রোগের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ৫ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে এবং কলকাতায় একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। সেখানে আজ সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ৯০ জন মারা গিয়েছে। এর আগে রাজস্থান প্রশাসন এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করেছিল। তেলেঙ্গানা সরকারও ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করেছেন। এদিকে, ৯ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৪ জেলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ৯ টি জেলা ছিল এই বৈঠকের তালিকায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বৈঠকে একটিও কথা বলতে দেওয়া হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীদের পুতুলের মত বসিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নিজে ভাষণ দিয়ে গেছেন, অত্যন্ত ক্যাজুয়াল বৈঠক হয়েছে।