আজ বিকেল: যোগাকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে আরও কিছু বিষয়ে দিকে নজর রাখতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন। সেইসঙ্গে তার খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, সময়ানুবর্তিতা, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, ইতিবাচক চিন্তা করা এবং প্রয়োজন ছাড়া ইলেকট্রনিক স্ক্রিন পরিহার করা।সুন্দরভাবে বাঁচতে কে না চায় । সেই আশা থেকেই মানুষ চান সুস্থতা। সেই জন্য চাই নিয়মিত শরীরচর্চা। আর সেই শরীরচর্চা হতে পারে একমাত্র যোগার মাধ্যমে।এখনকার সময়ে যোগাকে দেখা হয় ‘অলটারনেটিভ মেডিসিন’ হিসেবে। ধ্যানের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক মুক্তিলাভ করার জন্য এই চর্চা শুরু হয়েছিল।
যোগার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে মন, শরীর ও আত্মাকে সংহত করা। শরীরকে সুস্থ রাখা আর সুখে জীবনযাপন করা।একটা ভুল ধারণা রয়েছে, কেবল নারীরাই হয়তো যোগা করে থাকেন। কিন্তু তা নয়। নারী-পুরুষ সবার জন্যই যোগার প্রয়োজন। যোগা চর্চায় শরীর ও মনের বিভিন্ন উপকার হয়। রক্তে অতিরিক্ত সুগারের পরিমাণ কমিয়ে শরীরকেসুস্থ রাখে। ক্ষতিকর কোলস্টেরল কমায়। মনোসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। দেহে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। শরীরের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে রাগ, চাপ, মন খারাপ, বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে মানুষের মন ভালো থাকে। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে।নানা ধরনের যোগা রয়েছে। মানুষ ব্যস্তজীবনের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে যোগা করতে পারেন। আবার একরকমের যোগার কার্যকারিতা একেক রকম।
যোগার আদি পর্বের যাত্রা শুরু হয় প্রাচীন ভারতে। যোগার অর্থ হল সমন্বয় সাধন করা। কিন্তু কিসের এই সমন্বয়? আসলে দেহযন্ত্রগুলোর কর্মক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়িয়ে মন ও দেহকে প্রকৃতিগতভাবে একাত্ম করা দরকার। আর এই কাজটির মধ্যে সাধনা থাকতে হবে। নিজের মধ্যে আধ্যাত্মিক ব্যাপার থাকটা জরুরি। তার মানে কিন্তু এটা না যে নিজের স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে একেবারে আলাদা হয়ে যাওয়া। দিনে অল্প সময়েও যদি কেউ যোগা করেন তাহলে পুরো পৃথিবী থেকে নিজের মতো আলাদা হয়ে যেতে হবে।যোগার একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ প্রাণায়াম। এটি আসনের আগেও করতে পারেন আবার পরেও করতে পারেন। তবে দুটোর মাঝে শবাসন করাটা জরুরী। প্রাণায়ামের সময় মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেকোনো বয়সে যোগা করা যেতে পারে। শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে আসন করা যাবে কি না শে বিষয়ে অভিজ্ঞজনদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো। যোগা নিয়মিত করতে হবে । এক দিন করলেই জীবন বদলে যাবেনা। নিয়মিত সাধনা করলে আসল ফল পাওয়া যাবে।