নয়াদিল্লি: গত বছর করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ের পর চলতি বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা দেশ। তবে এতে যে রক্ষে নেই সেটা আগেই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছিল চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহল। কারণ জানানো হয়েছিল যে চলতি বছরেই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে ভারতে! এবার সেই ইস্যুতে দেশের সকলকে সতর্ক করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, সিঙ্গাপুরের নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতি থেকে ভারতে ছড়াতে পারে তৃতীয় ঢেউ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস প্রজাতি মিলেছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আগে থেকেই বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক মহল সতর্ক করেছে যে করোনার তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানাচ্ছেন, সিঙ্গাপুরের করোনাভাইরাস প্রজাতি শিশুদের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সেই কারণে তিনি এখন থেকেই শিশুদের জন্য অগ্রিম সর্তকতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ জনগণের আরও দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে সাওয়াল করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এখনই যেন সিঙ্গাপুরের বিমান চলাচল ভারতের পক্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে গত বছরের মতো এ বছরও সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। ইতিমধ্যেই সেখানে লকডাউন কার্যকরী হয়েছে।
ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস চিকিৎসা থেকে প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্স। গত সপ্তাহে আইসিএমআর করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সে থাকা বিজ্ঞানী চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে তথ্য সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্লাজমা থেরাপি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জেরে মৃত্যু ঠেকাতে খুব একটা কার্যকরী নয়। আইসিএমআর লক্ষ্য করেছে, করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ে প্লাজমা থেরাপি কিছুটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে তা আদতে কোন কাজ দিচ্ছে না। অর্থাৎ দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্লাজমা থেরাপি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আশানুরূপ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। মাঝারি এবং মৃদু উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার হলেও যাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই থেরাপি কাজে লাগছে না। সেই কারণেই সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত জাতীয় কমিটি।