নয়াদিল্লি: নতুন বছর পড়তে না পড়তেই আবারও দাপট বেড়েছে করোনা ভাইরাসের। শুরুর দিকে সংক্রমণ খানিক কমে গেলেও ফের একবার দিন প্রতি সংক্রমণে ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে দেশে। এর জন্য করোনার নতুন প্রজাতিকে দায়ি করা হচ্ছে। তবে এবার আরও অশনি সংকেত দিল স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। জানান হল, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দেশের সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছবে এপ্রিলের শেষেই। টানা ১০০ দিন দাপট রেখে এই ঘটনা ঘটাবে নোভেল করোনাভাইরাস।
স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ১০০ দিন এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার থাকবে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশে আক্রান্ত হতে পারেন ২৫ লক্ষ মানুষ। ২৮ পাতার এই রিপোর্টে স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউন ও স্থানীয় বিধিনিষেধ সংক্রমণ রুখতে একেবারেই সক্ষম হয়নি। তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে ভ্যাকসিন। এদিকে, আমআদমির উদ্বেগ বাড়িয়ে চলতি বছর এই প্রথম ৫০ হাজারের গন্ডি টপকে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪৭৬ জন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে৷
আরও পড়ুন- গভীর রাতে তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই পাস দিল্লির বিতর্কিত বিল! ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতেও৷ সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতাতেও৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬২ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি৷ আবার ১৮টি রাজ্যে দেখা মিলেছে করোনার নতুন স্ট্রেনের৷ গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৮ রাজ্যে নয়া স্ট্রেনের পাশাপাশি করোনার আরও ভেরিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে বিদেশে৷ বুধবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ৷ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন৷ বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৯২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৯২ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫১ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২৬ হাজার ৪৯০ জন।