নয়াদিল্লি: গত বছরেও দেখা গিয়েছিল যে সুস্থ হবার পরেও অনেকে আবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে যে হারে কর্ণ ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এই আশঙ্কা চলে তো যাচ্ছেই না বরং আরো বেশি করে বাড়ছে। কারণ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ধরা পড়েছে, ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার ১০২ দিন পর ফের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশ তথা রাজ্যবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে বৈ কমছে না।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ তাদের গবেষণায় জানিয়েছে, সাড়ে চার থেকে পাঁচ শতাংশ করোনা সংক্রমণ আসলে পুনঃ সংক্রমণ। এমন রোগী রয়েছেন যারা গত বছরেও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এই বছরেও হচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ১০০ জন নতুন সংক্রামিত মধ্যে কমপক্ষে ৫ জন রয়েছেন যাদের আগেও একবার ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তুলনামূলকভাবে এটা যাচাই করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না যে কারা ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এবং কাদের হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইতিমধ্যে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছর নতুন ভাবে যারা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের ওপর। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য সামনে এসেছিল, সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে।
এই প্রেক্ষিতে আইসিএমআর আরো জানিয়েছে, প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউ ‘কম তীব্র’ বা কম শক্তিশালী৷ ১০,০০০ মানুষের উপরে একটি সমীক্ষা করার পর আইসিএমআর জানিয়েছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে মৃত্যু হারে খুব বেশি পার্থক্য নেই। যদিও বলা হচ্ছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণরা আগের থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়৷ দুটি ঢেউয়ের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ৭০ শতাংশ আক্রান্তের বয়স ৪০ ঊর্ধ্ব৷ উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। যা রবিবারের থেকে প্রায় ১২ হাজার বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯ জন।