কলকাতা: ভবিষ্যতে কারও স্ট্রোকের সম্ভাবনা আছে কি না তা এখনই জেনে নেওয়া সম্ভব৷ এমনই এক অভিনব স্ট্রোক নির্ণয় পদ্ধতি চালু করেছে কলকাতার আমরি হাসপাতাল গোষ্ঠী৷
ঢাকুরিয়া, সল্টলেক বা মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের যে কোনও শাখায় গেলেই চোখে পড়বে সেখানে বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রোক নির্ণয় সম্পর্কিত ব্যানার লাগানো রয়েছে। ব্যানারে একটি কিউআর কোড দেওয়া আছে, সেই কিউআর কোডটি যে কেউ নিজের মোবাইল ফোনে স্ক্যান করলে একটি প্রশ্ন আসবে যেখানে বয়স, লাইফস্টাইল, হ্যাবিট, কিডনি, হার্ট বা অন্য কোনও রোগ আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হবে। সেই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ভবিষ্যতে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, সেটা সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ভেসে উঠবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভবিষ্যতে নিজের স্ট্রোকের সম্ভাবনা জেনে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি।
আমরি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কথায়, ‘বর্তমানে আমাদের জীবনযাপনের ধরনের ফলে খুব অল্প বয়সিদের মধ্যেও স্ট্রোকের প্রবণতা মারাত্মক পরিমাণে বেড়ে চলেছে। ফলে এই পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ব্যক্তির স্ট্রোক হওয়ার সুবর্ণ সময় বা গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে তাঁকে শুধু বাঁচানোই সম্ভব তাই নয়, সুস্থ করে তোলাও অনেকাটাই সম্ভব হয়৷’ অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে নিজে বা তাঁর আশেপাশের মানুষ বুঝতেই পারেন না৷ ফলে চিকিৎসকদের কাছে স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ সময় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না অথবা রোগীর শরীরের কোনও একটা অংশ প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম ৪ ঘন্টাকে বলে ‘সুবর্ণ সময়’ বা ‘গোল্ডেন আওয়ার’৷ হঠাৎ করে কথা আটকে যাওয়া, হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখলে স্ট্রোক হয়েছে বোঝা যায়। কিন্তু কোনও লক্ষণ ছাড়া অজান্তেও স্ট্রোক হয়৷ একে বলে ‘সাইলেন্ট স্ট্রোক’। কোনও ভাবেই বোঝা যায় না৷ কোনও লক্ষণ চোখেও পড়ে না। তাই ধরা কঠিন হয়ে যায় যে স্ট্রোকের মতো এত বড় একটা সমস্যা ঘটেছে।