গড় আয়ু কমছে ভারতীয়দের! নেপথ্যে এই ভয়ঙ্কর কারণ

কলকাতা: ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে রোগের কোনও শেষ নেই এটা পরিষ্কার। আজকাল এমন এমন রোগের কথা শোনা যায় যা আগে কম শোনা যেত। সকলেই এইসব নিয়ে ইস্যু নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন যেটা সেটা নিয়ে চর্চা কতটা হয়? প্রশ্ন হল, এইসব রোগের উৎস কী। বিষয়টি নিয়ে একটু গবেষণা করলেই বোঝা যাবে আমাদের আশেপাশের পরিবেশের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিষয়টি। বায়ুদূষণ।
দিন দিন বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তার অন্যতম বড় কারণ রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির ব্যবহার। এছাড়া পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয়ই আছে। তবে মোদ্দা কথা হল, এই বায়ুদূষণের কারণে বেশির ভাগ ভারতীয়ই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু সাম্প্রতিক যে তথ্য সামনে এসেছে তা ভয়ঙ্কর। জানানো হয়েছে, এর ফলে ভারতীয়দের স্থান ভেদে গড়় আয়ু কমে যেতে পারে ৫ থেকে ১১ বছর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। কিন্তু সেখান থেকে ক্রমে তা প্রভাব ফেলে হার্ট, কিডনি এবং মস্তিষ্কের ওপর। ফলে এক সময়ে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তারা এও বলছেন, বাতাসের মধ্যে থাকা সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ওজোন শুধু ফুসফুস নয়, হার্ট এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বায়ুদূষণের দোসর এক্ষেত্রে হয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আগেই এক গবেষণায় জানিয়েছিল ভারতের ৯০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে তাপপ্রবাহের শিকার হতে চলেছেন। আর ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাপপ্রবাহে। অন্যদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কথা, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ জুড়ে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের। বৃহৎ জলবায়ুর পরিবর্তন। ভয়ঙ্কর। এটি সবেমাত্র শুরু। বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগ শেষ হয়ে বিশ্ব ফুটন্ত যুগ এসেছে।