নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চিন্তা ব্যক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১০০ দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটিই সবথেকে বেশি সংক্রামক। তাই অনেকের ধারণা হচ্ছে যেহেতু এই প্রজাতি বেশি সংক্রামক তাই এই প্রজাতি থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যদিও দিল্লির এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে, এখনো পর্যন্ত এমন তথ্য সামনে আসেনি যা থেকে বলা যায় যে এই বেলটা প্রজাতি থেকে বেশি মৃত্যু হয়। তিনি সকলকে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্য জুড়ে! তিন জেলায় লাল সর্তকতা
এইমস প্রধানের বক্তব্য, ডেল্টা অথবা ডেল্টা প্লাস প্রজাতি থেকে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হচ্ছে এমন কোন তথ্য এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, সকলে যদি নিয়ম করে করোনাভাইরাস বিধি মেনে চলে এবং মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে, তাহলে করোনাভাইরাসের যে কোনও প্রজাতি থেকে নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। আসলে ইতিমধ্যেই গবেষকদের একাংশ দাবি করেছেন যে করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির সবথেকে বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনকেও নাকি হারিয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই মানুষের মধ্যে চিন্তা বেড়েছে। যদিও এইমস প্রধান যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে স্বাভাবিক ভাবে একটা স্বস্তির আবহ তৈরি হবে জনসাধারণের মধ্যে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, এই ইস্যু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিনি আগে জানিয়েছিলেন যে, এমন সম্ভাবনা যে হুবহু মিলে যাবে তার কোনো কথা নেই। অর্থাৎ সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি, পাশাপাশি এও বলছেন যাতে কেউ অযথা আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের পিছনে ‘দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী’! কী সম্পর্ক? ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক সুখেন্দু
তবে ডেল্টা প্রজাতি নিয়ে অন্য কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা স্পষ্ট জানাচ্ছে, করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির সংক্রামক রূপ সবথেকে বেশি প্রবল। অর্থাৎ এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। তাই অবশ্য ভাবে এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে তাদের। আরো চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার, ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ দেশে এই প্রজাতির অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানতে পেরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখানেই সব থেকে বড় উদ্বেগের ব্যাপার হলো বেশিরভাগ দেশে এই প্রজাতি আটকানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। যার ফলে আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে এই ডেল্টা প্রজাতি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।