নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু হয়েছে দেশে গত জানুয়ারি মাস থেকেই। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ দুটি ডোজের টিকা পেয়ে গেছেন। যারা টিকা পেয়ে গেছেন তারা মনে করছেন এবার হয়তো স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও হবে বা মাস্ক না পড়ে বেরোনো যাবে। এই বিষয়টিই সর্তকতা অবলম্বন করতে অনুরোধ জানাচ্ছে এইমস প্রধান রন্দীপ গুলেরিয়া। তিনি বলছেন ভাইরাস দ্রুত চরিত্র বদল করে ফেলছে, তাই অবশ্যই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
এইমস প্রধানের বক্তব্য, আমেরিকা সহ একাধিক দেশ দুটি টিকা নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে এখন থেকে মাস্ক না পড়লেও হবে। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় কারণ ভারতের বাইরাস দ্রুত নিজের চরিত্র বদল করছে। এই কারণে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগেই অনুমান করা হয়েছিল যে দ্রুত চরিত্র বদল করার জন্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে হয়তো কাজ করবে না ভ্যাকসিন। সেই নিয়ে গবেষণা এখনো জারি রয়েছে তাই এইমস প্রধানের বক্তব্য, সর্তকতা অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই সাধারণ মানুষের কাছে। বাইরের দেশের নিয়ম দেখে ভাবলে চলবে না যে ভারতেও একই নিয়ম কার্যকরী হতে পারে। ভারতের নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের উপর ভ্যাকসিন কতটা কাজ করছে তার পূর্ণ তথ্য সামনে না আসা পর্যন্ত টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সকলকে। স্পষ্ট ভাবে জানানো হচ্ছে, মাস্ক ব্যবহার থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার, এমনকি বাইরে বেরোলে পারস্পরিক দূরত্ব আগের মতোই বজায় রাখতে হবে।
এদিকে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অশনিসংকেত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানানো হয়েছে, সংক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছর অবস্থা আরো শোচনীয় হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাঁচ মাস অতিক্রান্ত, পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্যই বিশেষ নজর রয়েছে ভারতের ওপর বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে সব থেকে অবস্থা খারাপ ভারতের।